সদ্যই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সদস্যরা। সপ্তাহ না পেরোতেই এবার ক্রিকেটেও অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলো বাংলার নারীরা।
আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ফাইনালে আয়ারল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নিলো নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। টাইগ্রেসদের ৭ রানের জয় পাওয়ার কিছুক্ষণ পূর্বে টাইগাররাও আরব আমিরাতকে হারিয়েছিল একই ব্যবধানে।
আবুধাবিতে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ফাইনালে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে তোলে ১২০ রান। জবাবে ৯ উইকেটে ১১৩ রান তুলে থামে আইরিশরা।
এদিন টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক জ্যোতি। যদিও টাইগ্রেস ওপেনার ফারজানা হক পিঙ্কি ও রুমানা আহমেদ ছাড়া অন্য কোনো ব্যাটারই অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে পারেননি। ৭ ব্যাটসম্যান সিঙেল ডিজিটে আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। তবে ফারজানা একপ্রান্ত আগলে রেখে ৫৫ বলে ৭টি চারে ৬১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দেন।
ফারজানা ছাড়া চারে নামা রুমানার ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। এই দুই ব্যাটার তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৪৯ রান। আইরিশ নারীদের পক্ষে লরা ডিলানি ২৭ রানে ৩টি এবং কারা মুরে ও আরলেনে কেলি ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
আইরিশ নারীরা লক্ষ্য তাড়া করতে নামলে তাদের ম্যাচে একবারও সেট হতে দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নেওয়া টাইগ্রেসরা পঞ্চাশ রানের আগে আইরিশদের ছয় ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে ফেরায়।
ম্যাচ সেখানেই হেরে যায় আইরিশরা। যদিও শেষদিকে দলটির পক্ষে কেলি ২৮, ম্যারি ওয়ালড্রোন ১৯ এবং মুরে ১৩ রান করলে শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ টেনে আনতে সক্ষম হয় আইরিশরা। তবে সালমার করা শেষ ওভার থেকে মাত্র ৬ রান তুলে থামতে হয় দলটিকে।
ফলে ৭ রানের হার দেখে রানার্স আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো আইরিশ নারীদের।
বাংলাদেশ এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের শিরোপা নিজেদের করে নিলো। এর আগে ২০১৯ এবং ২০১৮ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের শিরোপাও জিতেছিল টাইগ্রেসরা। ২০১৫ সালে অন্যবার বাছাইপর্বে রানার্স আপ হয়ে থেমেছিল বাংলার নারীরা।