নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার রায়পাড়া এলাকায় চেতনানাশক খাইয়ে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরির ঘটনায় মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে আরএমপি’র কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি মোসা: সাবেরা খাতুন ওরফে সম্পা (২৫) রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকার মো: মমিনুল ইসলামের মেয়ে।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, কাশিয়াডাঙ্গা থানার রায়পাড়া এলাকার বাসিন্দা মো: সেলিম রেজার স্ত্রীর সঙ্গে প্রায় ছয় মাস আগে সাবেরা খাতুনের পরিচয় হয়। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে সাবেরা সেলিমের স্ত্রীর সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে এবং গত ১২ জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দে ভুক্তভোগীর বাসায় বেড়াতে এসে রান্নার কাজে সহযোগিতার কথা বলে মুরগির মাংস এবং স্যালাইনের মধ্যে চেতনানাশক মিশিয়ে পরিবারের সকলকে অচেতন করে ফেলে।
পরবর্তীতে, অচেতন অবস্থায় সাবেরা ভুক্তভোগীর স্ত্রীর শরীরে থাকা প্রায় ২.৫ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ ৪৮ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। সচেতন হওয়ার পরে বিষয়টি বুঝতে পেয়ে সেলিম ও তার স্ত্রী বিভিন্ন স্থানে খোঁজা খুঁজি করে। উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগী কাশিয়াডাঙ্গা থানায় এজাহার দাখিল করলে একটি নিয়মিত চুরি মামলা রুজু হয়।
আরএমপি’র কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আজিজুল বারী ইবনে জলিলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসআই নূর মোহাম্মদ সরদার ও তার টিম উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখে।
অবশেষে, গতকাল ২৩ জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী সেলিম চন্দ্রিমা থানার মেহেরচন্ডি করইতলা মোড়ে এক বাসায় আসামিকে শনাক্ত করে থানা পুলিশকে অবগত করে। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ উল্লিখিত স্থানে গিয়ে আসামি সাবেরাকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামি সাবেরা খাতুন চেতনানাশক প্রয়োগ করে চুরির বিষয়টি স্বীকার করে। সে আরো জানায়, ২-৩ জন সহযোগীর সহায়তায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের প্রতারণামূলক কাজ করে আসছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সাথে মামলার তদন্তকারী অফিসার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য বিজ্ঞ আদালতে রিমান্ডের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত দুই দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্যান্য সহযোগী আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।