নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর কাদিরগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক কোচিং সেন্টারের মালিক মোন্তাসেবুল আলম (অনিন্দ্য), রবিন ও ফয়সালকে অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেছে আদালত। একই সাথে তাদের জামিন নামঞ্জুর করেছে। রোববার দুপুরে মেট্রোপলিটন আদালত-২ এর বিচারক মামুনুর রশিদ এ রায় দেন।
রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আলী আশরাফ মাসুম জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে শনিবার বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত কাদিরগঞ্জ এলাকায় ‘ডক্টর ইংলিশ’ নামের একটি কোচিংয়ে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। ১৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে কোচিং সেন্টারের মালিক মোন্তাসেবুল আলম (অনিন্দ্য), রবিন ও ফয়সালকে আটক করে। উদ্ধার করে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি, সামরিক মানের দুরবিন ও স্নাইপার স্কোপ, ছয়টি দেশি অস্ত্র, ওয়াকিটকি সেট, জিপিএস, বিভিন্ন দেশি-বিদেশি মদ ও ১১টি নাইট্রোজেন কার্টিজ। এগুলো তাজা অবস্থায় ছিল। পরে বোম ডিসপোজাল ইউনিট তা নিস্ক্রিয় করে।
ঐদিন রাতে তাদের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে পুলিশ। রোববার দুপুরে আটককৃত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে হাজির করলে বিচারক প্রত্যেককে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই সাথে জামিন না মঞ্জুর করেন আদালত। তবে এনিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের চাচা শফিউল আলম লাট্টুর ছেলে অনিন্দ। তাঁদের বাড়ির সঙ্গে আলাদা একটি একতলা ভবনে ওই কোচিং সেন্টার। মোন্তাসেবুল রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামানের চাচাতো ভাই। এরআগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় মোন্তাসেবুলকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো। পরে তিনি ওই মামলা থেকে অব্যাহতি পান বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য রাজশাহীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ গ্রেপ্তার মোস্তাসেরুল আলম অনিন্দ্য (৩৩) এবং তার দুই সহযোগী রবিন (২৮) ও ফয়সালের (৩০) রিমান্ডের জন্য থানা থেকে রোববার দুপুর ২.২০ মিনিটে বোয়ালিয়া মডেল থানা থেকে আসামীদের পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতার তিন আসামীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি দায়ের করেন এসআই রেজাউল করিম। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বোয়ালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোতালেব হোসেনকে। বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, নতুন এ মামলাতেই তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।