নিজস্ব প্রতিবেদক: ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমল থেকে রাজশাহীর সাবেক মেয়র এএইচএম খাইরুজ্জামান লিটনের আস্থাভাজন (চাচাতো ভাই) হোটেল ডালাসের মালিক এ বি এম হাবিবুল্লাহ ডলার ঠিকাদারি কাজে এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন সরকারি অফিস ও দপ্তরে। এ নিয়ে বিভিন্ন ঠিকাদার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি রাজশাহী উন্নয়ন কতৃপক্ষের একটি কাজে তিনি অংশ নিয়েছেন।
জানা যায়, গত ০৮ সেপ্টেম্বর রাজশাহী উন্নয়ন কতৃপক্ষ (আরডিএ)’তে =১,৪১,৭৭,৪৬৪/- (এক কোটি একচল্লিশ লক্ষ সাতাত্তর হাজার চারশত চৌষট্টি টাকা বাজেটে আরডিএ/ ওন ফান্ড/২০২৫-২৬/ ডাব্লু-২ নামের একটি টেন্ডার প্যাকেজ প্রকাশ পায়। নওদাপাড়া বাস টার্মিনালের টিকিট কাউন্টার তৈরির কোটি টাকা ব্যয়ে এ কাজের টেন্ডারে অংশ নেয় মোট নয় জন ঠিকাদার। অনলাইনে অংশ নেওয়া ঠিকাদারদের মধ্যে হোটেল ডালাসের মালিক এ বি এম হাবিবুল্লাহ ডলারের ঠিকাদারি লাইসেন্স মো: ডলার অংশ গ্রহণ করে। এ বি এম হাবিবুল্লাহ ডলার শুধু এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের চাচতো ভাই নন, তিনি রাজশাহী মহানগর আ’লীগের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন।
আরো জানা যায়, গত জুলাই -আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলনকে দমানোর জন্য হোটেল ডালাস এর পরিচালক মো: ডলার রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনকে ব্যাপক অর্থায়ন করেছিলো। জুলাই অভ্যুত্থানের পরও তারা এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে এখনো টেন্ডার বাণিজ্যে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে। আওয়ামী দোসর ‘ডলার’ এবং বিভিন্ন অফিসে বহাল থাকা আওয়ামী দালাল অফিসাররা তাদের কাজ পাইয়ে দিতে সহায়তা করছে। রাজশাহী উন্নয়ন কতৃপক্ষের আ’লীগের দোশর কতিপয় প্রকৌশলীর যোগসাজশে এ টেন্ডার হাতিয়ে নিতেই তিনি অংশ গ্রহণ করেছেন। আ’লীগ সরকারের আমলে দীর্ঘদিন ডলার আরডিএ’তে এককভাবে কাজ পেয়ে এসেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি আবারও টেন্ডার ড্রপিং করেছেন। এর আগে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড এ টেন্ডার আবেদন করে কাজটি হাতিয়ে নেয় ডলার। পরে ঠিকাদারদের আনন্দোলনে তা প্রত্যাহার করে নেয় কতৃপক্ষ। তবে তার টেন্ডার ড্রপিং নিয়ে ঠিকাদারদের মাঝে ক্ষোভ দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন দিয়েও রাজশাহী উন্নয়ন কতৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল তারেককে পাওয়া যায়নি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।