বাংলাদেশের নাগরিক সে যে ধর্মেরই হোক, যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে, এ কথা জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা কিন্তু প্রত্যেকটা উৎসবই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলে উদযাপন করি। এ কারণে বলি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যে ধর্মেরই হোক, যে-ই হোক, ধর্মীয় অনুভূতিতে কেউ আঘাত দিতে পারবে না। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কেউ কোনো কথা বলতে পারবে না। যেকোনো ধর্মের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য।’
বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ।’
বাংলাদেশের নাগরিক সে যে ধর্মেরই হোক, যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে, এ কথা জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা কিন্তু প্রত্যেকটা উৎসবই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলে উদযাপন করি। এ কারণে বলি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার।’
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
ইসলাম ধর্মের উদারতার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইসলাম অনেক উদার ধর্ম। আমাদের ইসলাম ধর্মে নির্দেশ আছে, সকল ধর্মকে সম্মান দেখাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার সব সময় এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। যেকোনো ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
কোথাও কোনো দুর্ঘটনা হলে, সেটাকে খুব বড় করে না দেখে, সে বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মুসলিমদের হেবা আইনের মতো সুবিধা হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্যও চালু করা হয়েছে, জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল শত্রু সম্পত্তি আইন নিয়ে। সেটাও আমরা বাতিল করে, পরিবর্তন করে দিয়েছি। যার যার সম্পত্তিতে অধিকারটা যেন ভোগ করতে পারেন, সে ব্যবস্থাটা করেছি।’
আগামী বছর বিশ্বমন্দা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘জাতিসংঘে বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সংস্থাটির মহাসচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সবাই খুব দুশ্চিন্তাগ্রস্ত যে, ২০২৩ সালে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। অর্থনৈতিক মন্দা আরও ব্যাপক আকারে দেখা দিতে পারে।’ বিষয়টি মাথায় রেখে সবাইকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় দেশের জনগণকে এখন থেকে প্রস্তুতি নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের জমি অত্যন্ত উর্বর। তাই কোনো জমি যাতে অনাবাদী না থাকে। যে যা পারেন, উৎপাদন করেন।’
পঞ্চগড়ে নৌকাডুবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে দুর্ভাগ্য যে, আসলে একটা নৌকায় এত বেশি লোক একসঙ্গে চড়াটা। বারবার নিষেধ করার পরও কেউ শোনেনি। অথচ নদীটি খুবই ছোট, অত গভীরও না। তারপরও দুর্ঘটনাটা ঘটে গেছে।’