ইউএনওকে উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, ‘আমি কি ঢুকছি এখানে? আমি কি ঢুকছি? কেন সিনক্রিয়েট করতেছেন? আপনি কে? আমি কি ঢুকছি? তারপরও আপনি কথা বলতেছেন। আমি কি বাচ্চা শিশু? স্টুপিডের মতো কথা বলেন। যেভাবে ভাবটা করেন তাতে বুঝায় দল বাইধা ঢুকতেছি। ভোটার হইছে ১৭৪ জন। তাহলে সমস্যা কোথায় আপনাদের?’
বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে কক্ষে প্রবেশের সময় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সঙ্গে কেন্দ্রে দায়িত্বরত বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামানের বাকবিতণ্ডা হয়েছে। এ সময় ইউএনও ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন মেয়র।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকালে এই ঘটনা ঘটে।
মেয়রের ফেসবুক পেজে করা লাইভে দেখা যায়, ভোট দিতে ওই কেন্দ্রে যান সাদিক আব্দুল্লাহ। এ সময় তার সঙ্গে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বরিশাল জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর হোসাইন, বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নইমুল হোসেন লিটু, রফিকুল ইসলাম খোকন, ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সাইয়েদ আহম্মেদ মান্না ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনিসহ বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ছিলেন। কেন্দ্রের ১ নম্বর ভোট কক্ষে প্রবেশের সময় বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান মেয়রকে ‘দল বেধে’ ভোট কক্ষে প্রবেশ না করতে অনুরোধ করেন। এসময় ইউএনও’র সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয় মেয়রের।
ইউএনওকে উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, ‘আমি কি ঢুকছি এখানে? আমি কি ঢুকছি? কেন সিনক্রিয়েট করতেছেন? আপনি কে? আমি কি ঢুকছি? তারপরও আপনি কথা বলতেছেন। আমি কি বাচ্চা শিশু? স্টুপিডের মতো কথা বলেন। যেভাবে ভাবটা করেন তাতে বুঝায় দল বাইধা ঢুকতেছি। ভোটার হইছে ১৭৪ জন। তাহলে সমস্যা কোথায় আপনাদের?’
এ সময় কাউন্সিলর শেখ সাইয়েদ আহম্মেদ মান্না পাশ থেকে বলেন, ‘এখানে সবাই ভোটার, আপনি চেনেন না। আপনে বরিশালে মনে হয় নতুন।’তখন জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর ইউএনওকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘উনি (মেয়র সেরনিয়াবাত) বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র, আমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উনি (সাইদুর রহমান রিন্টু) উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।’এ সময় ইউএনও মনিরুজ্জমান বলেন, ‘চেয়ারম্যান মহোদয় আমি আপনাদের চিনি। আমি এমন কিছু বলিনি।’একপর্যায়ে ক্ষোভ ঝেড়ে মেয়র ইউএনওকে বলেন, ‘আমি তো ভিতরে ঢুকিনি। আসার পর থেকে আপনারা বলতেছেন। ফাইজলামি করেন আপনারা। আপনে কানে কথা শুনেননি।’তার কথার জবাবে ইউএনও বলেন, আপনাকে কিছু বলিনি স্যার।’ তবে বাকবিতণ্ডার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ইউএনও মনিরুজ্জমান। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘মেয়র সেরনিয়াবাতের সঙ্গে আমার বাকবিতণ্ডার খবর সঠিক নয়।’
এ বিষয়ে জানতে মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকে ফোন দেওয়া হলেও ফোন রিসিভ করেননি।
বরিশাল সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং অফিসার নুরুল আলম বলেন, ‘ভোট কক্ষে ফেসবুক লাইভ করার কোনো বিধান নেই।’