তানোর
সিনেমা হলের ৩২ ফুট দৈর্ঘ্য ২০ ফুট প্রস্থের বড় ডিজিটাল পর্দায় নিচের তলায় মাত্র ২০ টাকার টিকিটে এবং ওপর তলায় ২৫ টাকার টিকিটে চেয়ারে বসে খেলা দেখার আয়োজন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অগ্রিম টিকিট বিক্রির পাশাপাশি দর্শক টানতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ উপজেলা জুড়ে ব্যানার ও মাইকিং শুরু হয়েছে। প্রায় ১২০০ ফুটবলপ্রেমীরা একসঙ্গে বসে এ সিনেমা হলে বিশ্বকাপের ৩২ দলের সবগুলো খেলা দেখতে পারবেন।
তানোর পৌরশহরের কাইয়ুম, সোহাগ, বাদশা নামে তিনজন যুবকের সঙ্গে সিনেমা হলে বিশ্বকাপ খেলার আয়োজন প্রসঙ্গে কথা হয়। তাঁরা এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘পৌর সদরের আনন্দ সিনেমা হলের বড় পর্দায় খেলা দেখানোর এই আয়োজনের কথা অনলাইনে জানতে পেরে বন্ধুরা মিলে এসেছি অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে। আসলে বড় পর্দায় সবাই এক সঙ্গে খেলা দেখার মজাই অন্যরকম। এই কারণে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
আনন্দ সিনেমা হলের দায়িত্বে থাকা আবদুল্লাহ কমিউনিটি সেন্টারের মালিক আজিমুদ্দিন বলেন, ‘বিশ্বকাপের সময় বাড়ির ছাদগুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যায় আমাদের দেশের মানুষের কাছে ফুটবল কতটা জনপ্রিয়। এই জনপ্রিয় খেলা সবাই একসঙ্গে দেখতে ভালোবাসেন। এই ক্রীড়াপ্রেমী মানুষেরা যেন একসঙ্গে বড় পর্দায় খেলা দেখতে পারেন সে কারণেই আমাদের এই আয়োজন।’
সিনেমা হলের পর্দায় খেলা দেখার আয়োজক তাজমুল ইসলাম তাজ তানোরের গোল্লাপাড়া বাজারের তাজ ভিডিও’র স্বত্বাধিকারী ‘ফুটবলপ্রেমীদের অনেকেই লোডশেডিংয়ের ঝামেলা ছাড়াই বড় পর্দায় দল বেঁধে খেলা দেখতে পছন্দ করে। এদের বেশির ভাগই তরুণ। এসব বিষয় মাথায় রেখেই আমাদের এই আয়োজন। যে কেউ স্বল্পমূল্যে সিনেমা হলের বড় ডিজিটাল পর্দায় খেলা উপভোগ করতে পারবেন। এমনকি দূর-দুরান্ত থেকে আগত দর্শকদের গাড়ি রাখার জন্য গ্যারেজের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘ফুটবল বিশ্বকাপের প্রতি আমাদের দেশের দর্শকের অনেক আগ্রহ। দর্শকের কথা মাথায় রেখে বিশ্বকাপের এসব জনপ্রিয় খেলা তানোরের আনন্দ সিনেমা হলের বড় পর্দায় দেখানোর আয়োজন করেছে বলে শুনেছি।’