নিউজ ডেস্ক
সিলেট বিভাগীয় বিএনপির গণসমাবেশকে সামনে রেখে দলীয় নেতাকর্মীরা সিলেট আসতে শুরু করেছেন। আগামীকাল শনিবার সম্মেলনের তারিখ ধার্য হলেও বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা থেকে দুদিন আগেই অনেকে এসে অবস্থান নিয়েছেন।
বিশেষ করে আজ শুক্রবার সকাল থেকে বিভাগের তিন জেলা সুনামগঞ্জ, মেৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে পরিবহণ ধর্মঘট থাকায় গত রাতেই এসব জেলার নেতাকর্মীদের অধিকাংশ নেতাকর্মী সিলেট পৌঁছান।
ইতোমধ্যে বৃহস্পতিবার সিলেট আসেন বিএনপির কেন্দ্রীয় একটি টিম। টিমে রয়েছেন গণসমাবেশের সমন্বয়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেড জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন। সিলেট এসেই তারা গণসমাবেশের স্থল পরিদর্শন করেন। আজ আসছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
বিএনপির সমাবেশের দিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট জেলায় এবং আজ সকাল থেকে আগামীকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায় পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি।
বৃহস্পতিবার থেকে সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়েছে শতাধিক নেতাকর্মী। সেখানে তাদের রাত্রি যাপনসহ খাওয়া-ধাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমাবেশস্থলে রয়েছে বিভাগের বাকি জেলা নেতৃবৃন্দের অবস্থানের জন্য পৃথক ক্যাম্প। সন্ধ্যায় সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সমাবেশস্থলে ছিটানো হয় মশক নিধন ওষুধ।
মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি কর্মীদের জন্য মাঠে ফ্রি পানি বিতরণের ব্যবস্থা করেছে। রাতে আসা নেতাকর্মীদের জন্য আবাসনের ব্যাবস্থা করা হয়েছে নগরীর বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টারে। কেউ কেউ অবস্থান নিচ্ছেন মসজিদের বারান্দায়। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে স্থানীয় বিএনপি নেতারা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এদিকে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি ও গণসমাবেশের প্রচার ও মিডিয়া উপকমিটির আহবায়ক আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী অভিযোগ করেন, বেশ কয়েকটি জায়গায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কর্মীদের গ্রেফতার করছে যা গণতান্ত্রিক দলের কর্মসূচির জন্য অযাচিত বাধা।
তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবহার করে গণসমাবেশ বানচালের চেষ্টা করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। তবে যত বাধাই আসুক, সমাবেশ সফল হবে বলে তিনি আশাবাদী।
তবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপি অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে দাবি করেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি যুগান্তরকে জানান, আওয়ামী লীগ গণতনে্ত্র বিশ্বাসী। কোনো রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ বানচালের সঙ্গে দলের কারও সম্পৃক্ততা নেই। সমাবেশের নামে কেউ জানমালের ক্ষতি সাধন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে সহ্য করা হবে না বলে জানান।
এদিকে, আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের দু’দিনব্যাপী ইজতেমা আজ সকাল ১০টায় শেষ হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হবে আখেরী মুনাজাত। ইজতেমায় গতকাল দিনব্যাপী শতাধিক আলেম-উলামা বক্তব্য রাখেন।সূত্র: যুগান্তর