ঝাঁকজমক পূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠতে যাচ্ছে কাতার বিশ্বকাপের। অনেক আলোচনা-সমালোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এবং অনেক প্রথমের জন্ম দিয়ে মরুর বুকে অবশেষে শুরু হতে যাচ্ছে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। এক ট্রফিতে চোখ রেখে লড়বে বত্রিশ দল। বাংলাদেশ সময় রোববার (২০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। তার ঘণ্টা দেড়েক পরেই মাঠে নামবে স্বাগতিক কাতার-ইকুয়েডর। আল বাইয়াত স্টেডিয়ামে হচ্ছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। দর্শকরা উদ্বোধনী আয়োজন উপভোগের জন্য আগেভাগেই জড়ো হন গ্যালারিতে।
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কি কি থাকছে
সাধারণত সব আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই সেই দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি-কালচার তুলে ধরা হয় নানা আয়োজনে। এরপর থাকে খ্যাতিমান কিংবা বিশ্বখ্যাত সংগীত শিল্পীদের পারফরম্যান্স। থাকে বিশ্বকাপের থিম সং পরিবেশন।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এবারের বিশ্বকাপের থিম সং ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ ইওরস টু টেক’ গাইবেন আমেরিকার শিল্পী লিল ববি। আর থিম সং-এর সঙ্গে নৃত্য করবেন মরোক্কোর নৃত্যশিল্পী মানাল ও রেহমা। তাদের সঙ্গে থাকবেন নোরা ফাতেহিও।
এছাড়া কোরিয়ার জনপ্রিয় ব্যান্ড বিটিএস-এরও সঙ্গীত পরিবেশনা থাকবে। ব্যান্ডটির সদস্য জুং কুক ‘ড্রিমার্স’ গানটি পরিবেশন করবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া আমেরিকার মিউজিক্যাল গ্রুপ ‘ব্ল্যাক আইড পিস’ ও ইংলিশ গায়ক রবি উইলিয়ামসের পারফরম্যান্স করার কথা রয়েছে।
গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল কলম্বিয়ান পপ তারকা শাকিরা ও নাইজেরিয়ান শিল্পী কিজ ড্যানিয়েলও পারফরম্যান্স করবেন। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে স্থানীয় সঙ্গীত শিল্পী ও নৃত্যশিল্পীরা সুযোগ পেতে পারেন পারফরম্যান্স করার। এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হবে টুর্নামেন্টের অফিসিয়াল মাসকট লা’ইব। এরপর আতশবাজির ঝলকানিতে শেষ হবে ৪৫ মিনিটের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নেমে পড়বে কাতার ও ইকুয়েডরের প্লেয়াররা। এরপর কাতারের আটটি শহরে চলতে থাকবে ২৯ দিন ব্যাপী এই বিশ্বকাপ। যেখানে ৩২টি দল আটটি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বিশ্বসেরা হওয়ার।