রাজশাহীর তানোর মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র সাইদুর রহমান(ওরুফে) কুলি সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে উঠেছে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দেয়ার নামে তার পৌরসভার সংরক্ষিত নারী সদস্যের সাথে অনৈতিক কর্মকান্ড ও পরকীয়ার গুঞ্জন। এতে করে ভদ্র সমাজে মুখোশ পরে থাকা মেয়র সাইদুর (ওরুফে) কুলি সাইদুর ও জনৈক সংরক্ষিত নারী সদস্যের এমন প্রেম লিলার গোমর ফাঁস হয়ে পড়লে মুন্ডুমালা পৌর এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য ও বইছে সমালোচনার ঝড়। সেই সাথে মেয়রের এমন জঘন্য কান্ডে দ্রুত মেয়রের পদ থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবিও উঠেছে সচেতন পৌরবাসীর মধ্যে।
তানোর প্রতিনিধি
ছুটির দিনে ফাইল জমা দিতে ঢাকা যাওয়ার নামে কক্সবাজার থেকে ঘুরিয়ে এনেই টিআর প্রকল্পের সভাপতি,হতাশ অন্য সদস্যরা। কথাই আছে প্রেম ভালোবাসা মানে না কোন জাত বা ধর্ম। ঠিক তেমনি এবার রাজশাহীর তানোর মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র সাইদুর রহমান(ওরুফে) কুলি সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে উঠেছে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দেয়ার নামে তার পৌরসভার সংরক্ষিত নারী সদস্যের সাথে অনৈতিক কর্মকান্ড ও পরকীয়ার গুঞ্জন। এতে করে ভদ্র সমাজে মুখোশ পরে থাকা মেয়র সাইদুর (ওরুফে) কুলি সাইদুর ও জনৈক সংরক্ষিত নারী সদস্যের এমন প্রেম লিলার গোমর ফাঁস হয়ে পড়লে মুন্ডুমালা পৌর এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য ও বইছে সমালোচনার ঝড়। সেই সাথে মেয়রের এমন জঘন্য কান্ডে দ্রুত মেয়রের পদ থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবিও উঠেছে সচেতন পৌরবাসীর মধ্যে।
অন্যদিকে মেয়রের এমন জঘন্য ঘটনার সত্যতা পেয়ে জনৈক নারী সদস্যের স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার জন্য কাজীর কাছে গেলে মেয়র সাইদুর কোন রকমে হাত পা ধরে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হন সংরক্ষিত নারী সদস্যের স্বামীকে।
সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান মেয়র সাইদুর রহমান (ওরুফে)কুলি সাইদুর রহমান ও জনৈক সংরক্ষিত নারী সদস্যের প্রেম কাহিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেয়র গোলাম রাব্বানীর সময় থেকে চলে আসছে পৌরসভায়। সম্প্রীতি গোলাম রাব্বানী মেয়র থাকা অবস্থায় পৌর ভবনে বর্তমান মেয়র সাইদুর রহমান (ওরুফে) কুলি সাইদুর রহমানের সাথে জনৈক নারী সদস্যের অবৈধ প্রেম লিলার বিষয়টি জানাজানি হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয় পৌরভবন জুড়ে। কিন্তু ততকালীন মেয়র গোলাম রাব্বানী কোন রকমে ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে চাপিয়ে রাখলেও পাপ কখনো চাপা থাকেনা। তেমনি মেয়র সাইদুর (ওরুফে) কুলি সাইদুরের ঘটনাটিও ফাঁস হয়ে পড়ে পৌরসভা জুড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুন্ডুমালা পৌরসভার বেশকিছু কর্মচারী বলেন,মেয়র সাইদুর রহমান এসব অপকর্ম অনেক দিন ধরেই পৌর ভবনে চালিয়ে আসছে। তাঁর এসব অপকর্মে পৌরসভার সকল স্টাফরা বিব্রত ও ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু সে একজন মেয়র হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা কেউ। তারা আরো বলেন,মেয়র সাহেবের বাড়ি বাজারে অথচ তিনি দুপুরে রেস্ট করতে বাড়িতে না গিয়ে অফিসে সময় কাটান। এমনকি মেয়র সাহেবের পার্সনাল রুমে নেই সিসি ক্যামেরা। কিন্তু কেন মেয়র সাহেব বাড়িতে যায়না, পার্সনাল রুমে সিসি ক্যামেরা লাগায় না তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার এক সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর জানান,মেয়র সাইদুর কিছুদিন আগে জনৈক ঔ নারী সদস্যকে প্রকল্পের কাজে ঢাকাতে যেতে হবে বলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকার নাম করে কক্সবাজার নিয়ে যান মেয়র। সেখানে কিছুদিন থেকে ঘুরে এসেই কয়েকটি প্রকল্পের সভাপতি করেন ঔ সংরক্ষিত নারী সদস্যকে। অথচ আমাদের কোন প্রকল্প দেয়না মেয়র সাহেব। আমরাও তো ভোট করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছি,আমাদেরও জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হয়। কিন্তু মেয়র সাহেব ঔ সংরক্ষিত নারী সদস্যকে ছাড়া কাউকে কোন কাজ দেননা।
এদিকে অন্য সব নারী সদস্যেরা ঢাকাতে না যাওয়ায় জনৈক নারী সদস্যের স্বামীর সন্দেহ হলে তিনি দ্রুত তার স্ত্রীকে ফোন করে বাড়িতে ফেরত আসতে বলেন। এতে দু’দিন পার হলেও বাড়িতে না আসায় জনৈক নারী সদস্যের স্বামী ব্যাপক উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এবং তাঁর স্ত্রী জনৈক নারী সদস্য বাড়িতে আশামাত্র বাঁধে ব্যাপক স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব।
একপর্যায়ে জনৈক নারী সদস্যের স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে তালাক দিতে কাজী অফিসে গেলে কোন রকমে মেয়র সাইদুর রহমান গিয়ে জনৈক নারী সদস্যের স্বামীকে বিভিন্ন বুঝ পাতা দিয়ে বাড়িতে ফেরত আনেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র সাইদুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।