November 25, 2024, 1:38 am

News Headline :
সীমাহীন দূর্নীতির পরও বহাল তবিয়তে মোহনপুরের ইউএনও আয়শা সিদ্দিকা রাজশাহীতে চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব বন্ধে কঠোর হুশিয়ারি যুবদল নেতা রবি’র পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে কোথাও স্থাপনা করতে না পেরে শেষমেস ভাঙারির দোকানে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ: নাছিম রাজশাহীতে আলু ও তেলের দাম বাড়তি রাজশাহীতে ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বললো মহানগর ছাত্রদল প্রধান উপদেষ্টার সাথে খালেদা জিয়ার মতবিনিময় দেশের সকল ক্ষমতার মালিক হবেন জনগণ: ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
মাহাতাব হোসেনের বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মাহাতাব হোসেনের বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত ছাড়া বেআইনীভাবে আনুমানিক ৭০০ কার্ড বিক্রি করেন। বর্তমান কার্ডের মূল্য দাঁড়ায় ২১ লাখ টাকা; যা সম্পূর্ণ আত্যসাৎ করা হয়েছে। রাজশাহী বাইপাস সংলগ্ন ললিতাহার মৌজা ১৯ কাঠা জমির (দলিল নম্বর-৯৪১৭) মধ্যে ১৬ কাঠা বিক্রি করেছেন পানির দামে। মাত্র ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা মূল্য দেখিয়ে বাকি অন্তত ১০ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন মাহাতাব হোসেন।

নিউজ ডেস্ক
চাঁদার টাকা, শ্রমিক কার্ড বিক্রি, ভবনসহ জমি বিক্রির অন্তত ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেস রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেনের বিরুদ্ধে। শ্রমিকদের অভিযোগ করেন, এসব নিয়ে প্রতিবাদ করলে কার্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমন অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদ সম্মেলন করা হয়।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য মিজানুর রহমান মিজান। সঙ্গে ছিলেন- বাস চালক হারুন অর রশিদ, নজরুল ইসলাম, আব্দুস সালাম শেখ, নাজিম। সংবাদ সম্মেলনে তারা সাংবাদিকদের জানান, সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত ছাড়া বেআইনীভাবে আনুমানিক ৭০০ কার্ড বিক্রি করেন। বর্তমান কার্ডের মূল্য দাঁড়ায় ২১ লাখ টাকা; যা সম্পূর্ণ আত্যসাৎ করা হয়েছে। রাজশাহী বাইপাস সংলগ্ন ললিতাহার মৌজা ১৯ কাঠা জমির (দলিল নম্বর-৯৪১৭) মধ্যে ১৬ কাঠা বিক্রি করেছেন পানির দামে। মাত্র ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা মূল্য দেখিয়ে বাকি অন্তত ১০ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন মাহাতাব হোসেন।

রাজশাহী শিরোইল বাস টার্মিনালের পাশে মেইন রোড সংলগ্ন শিরোইল মৌজা এক তলা আরসিসি পাকা বিল্ডিং করা ও জমির পরিমাণ .০৯৭৭ শতাংশ। (দলিল নম্বর- ৬২৪২) রাজশহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনয়নের নামে। এটি হাশেম আলীর কাছে ১ কোটি টাকায় বিক্রয় করেন মাহাতাব হোসেন চৌধুরী। কিন্তু বর্তমানে বিল্ডিং ও জমির মূল্য ৮ কোটি টাকা। তা একক ভাবে আত্যসাৎ করেন। তার কাছে শেয়ার হোল্ডার মূলে জমির মালিক সদস্যগণ হিসাব চাইতে গেলে প্রাণ নাশের হুমকি দেন। কার্ডের মাসিক চাঁদা বন্ধ করে দেন। তার নামে শ্রমিকরা একাধিক মামলা করেছেন।

মাহাতাব হোসেন ২ হাজার ৪৪০ জনের শেয়ার হোল্ডার মাঝে খড়খড়ি ললিতহার মৌজার জমি বিক্রির মাত্র ৩ হাজার টাকা করে দেন। গত ৭ জুন মাহাতাব হোসেন চৌধুরী সাংবাদিক সম্মেলন করে বক্তব্যে বলেন, জমি বিক্রি করেছি। ২ হাজার ৪৪০ জনকে ৩ হাজার টাকা করে দিয়েছি। বাকী টাকা আমার কাছে আছে সে টাকা দিয়ে শ্রমিকদেরকে ১০ কোটি টাকার সম্পদ কিনে দিব। কিন্তু তিনি দেননি। রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন সড়ক ফেডারশনের নামে প্রতিদিন গাড়ী প্রতি চাঁদা গ্রহণ করে ২০ টাকা। সেই টাকারও কোনো হিসেবে নাই।

কমপক্ষে প্রতিদিন গাড়ী চলে ৩০০টি। তাতে প্রতিদিন চাঁদায় উঠে ৬ হাজার টাকা। এছাড়াও রাজশাহী হতে স্থানীয় গাড়ী ছাড়া হয় কমপক্ষে ১৫০টি। স্লিপ ছাড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন চাঁদা গ্রহণ করে গাড়ী ১১০ টাকা। যার চাঁদা উঠে ১৬ হাজার ৫০০ টাকা। আন্তঃ জেলা ঢাকা বাস গাড়ী থেকে চাঁদা গ্রহণ হয় প্রতিদিন ৩০ হাজার টাকা । আন্তঃ জেলা গাড়ী রাজশাহীতে প্রবেশ করে তা প্রতিদিন চাঁদা গ্রহণ করে ২০ হাজার টাকা। রাজশাহীতে এভাবে প্রতিদিন চাঁদা উঠে অন্তত ৫০ হাজার টাকা । যা এক বছরে ১ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তিন বছরে ৫ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তবুও শ্রমিকরা শিক্ষা, ভাতা কন্যাদায় মৃত্যুকালীন টাকার অধিকার থেকে সম্পূর্ণ ভাবে বঞ্চিত। সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী নিজস্ব শ্রমিক সদস্যদের মাঝে স্বজনপ্রীতি করেন।

শ্রমিকরা দাবি করেন, আত্মসাতকৃত টাকা দিয়ে মাহাতাক হোসেন নিজে সাত তলা বাড়ি করেছেন, গাড়ি করেছেন ৭-৮টি। এছাড়াও নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।

এবিষয়ে রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি। শ্রমিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণের প্রশ্নই আসে না। বরং শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছি নিরলস। জমি বিক্রি করা হয়েছে নির্বাহী পরিষদের অনুমতি নিয়ে। সেিই টাকাও শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আমি কোনো টাকা আত্মসাত করিনি।’সূত্র সিল্কসিটি

Please Share This Post in Your Social Media

ads



© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.