তানোর প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোরে চলাচলের রাস্তায় বেড়া সরানোকে কেন্দ্র করে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে অসহায় কৃষক রবিউলকে বাশের লাঠি ও গাছের ডাল দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করেছেন ভাড়াটিয়া রেজাউল ও স্বপন বলে নিশ্চিত করেন গ্রাম বাসী।মারাত্মক জখম রবিউলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কৃষক রবিউলের ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গলীর উপরে ফেটেছে ও পিঠে মারাত্মক জখম এবং মুখ দিয়ে রক্ত পর্যন্ত বের হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার কলমা ইউনিয়ন(ইউপির) চন্দনকোঠা গ্রামে ঘটে মারপিটের ঘটনাটি। এঘটনায় উভয়ের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে, সেই সাথে ভাড়াটিয়া রেজাউল ও স্বপনের শাস্তির দাবিতে ফুসেঁ উঠেছে প্রতিবেশিরা। বিশেষ করে পুলিশের এসআই মজিবরের সামনে মারপিট হলেও পক্ষপাত ভাবে দাড়িয়ে থাকার কারনে চরম ক্ষুব্ধ।
গত মঙ্গলবার রাতে মেডিকেলে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক রবিউল বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছে। টিকমত শুয়ে থাকতে পারছেনা। সেখানে তার স্ত্রী আদরী বেগম ছিলেন। তিনি জানান, চলাচলের রাস্তায় ট্র্যাক্টরে করে মাটি ফেলছিল আমার স্বামী। মাটি ফেলার সময় এমদাদুলের বাশের বেড়ায় বেধে যায়। এজন্য আমার স্বামী খুলে রাখে। এই অপরাধে থানার এসআই মজিবরের সামনে আমার স্বামীকে বাশের লাঠি ও গাছের ডাল দিয়ে এমদাদের ভাড়াটিয়া চন্দনকোঠা গ্রামের রেজাউল ও স্বপন বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। তাদের বেপরোয়া মারপিটে আমার স্বামী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তারা সরে যায়। আমরা এসআই মজিবরকে কিছু বললেই আমাদেরকে গালিগালাজ করছে। এতই মেরেছে মুখ দিয়ে রক্ত পর্যন্ত বের হতেই আছে। তিনি আরো জানান, আমাদের দুই ছেলে আছে, বাবার এঅবস্থা দেখে থামতেই পারছে না। ডাক্তার বলেছে বুধবার সকালে বড় ডাক্তার দেখার পর রেফার্ডের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে। তবে এখন পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত কৃষক রবিউল কাতরাতে কাতরাতে বলেন, কোন মানুষ এভাবে মারতে পারে না। আমি গরীব এজন্য এভাবে মারা হল। স্বপনের বাইকে সিভিল ডেসে এসআই মজিবরের সামনে মারপিট করে। অথচ এসআই আমাকেই উল্টো গালমন্দ করেছে।
এসআই মজিবর জানান, রাস্তায় মাটি ফেলা নিয়ে গোলমাল হলে ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে আমি সেখানে যায়। কথাকাটা কাটির এক পর্যায়ে রবিউল তাদের কে আঘাত করলে মারপিট শুরু হয়। আপনি নাকি স্বপনের বাইকে গিয়ে পক্ষপাত করেছেন জানতে চাইলে অস্বীকার করেন।
গ্রামবাসী জানান, রবিউলকে এভাবে মারা চরম অন্যায় হয়েছে। ইচ্ছে করলে এসআই থামাতে পারত। কিন্তু উল্টো রবিউলকে গালিগালাজ করেছেন। এসবের বিচার হওয়া একান্ত প্রয়োজন। নাহলে ভাড়াটিয়া রেজাউল ও স্বপন এমন ঘটনার জন্ম দিতেই থাকবেন। এর আগেও রেজাউল একব্যক্তিকে মেরে চোখ নষ্ট করে দেয়।
রেজাউল ও স্বপন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, রবিউল পুরো বাড়ি ঘিরে রেখে হামলা করছিল এজন্য ৯৯৯ কল করার পর পুলিশের এসআই মজিবর আসে, তাকেও গালমন্দ করে রবিউল। তার নামে দুটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তার রেহায় নাই বলেও দম্ভক্তি প্রকাশ করেন।