রাজশাহী
বুধবার দিবাগত রাত ১০ টা ১ মিনিটে রকিবর রহমান ওরফে ওকিবর নামের ওই আসামীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তার বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলার নিমতলা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।
১৯৯৯ সালের একটি হত্যা মামলায় রকিবর রহমানের মৃত্যুদন্ড দেন আদালত। এরপর তার প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নাকচ হলে বুধবার দিবাগত রাতে ফাঁসি কার্যকর করে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ।
কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ফাঁসি কার্যকরের পর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ২ জানুয়ারি খোরশেদা খাতুন নামের এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় খোরশেদার বাবা আব্দুল জব্বার সাত জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন গোদাগাড়ী থানায়।
এ মামলায় শুনানি শেষে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল আদালত ২০০৪ সালের ৮ আগস্ট চার আসামের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। তারা হলো, হেলাল উদ্দিন, রকিবর রহমান, লাল মোহাম্মদ ও বাছির উদ্দিন। তাদের মধ্যে বুধবার রাতে রকিবুর রহমানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো।