November 25, 2024, 1:50 am

News Headline :
সীমাহীন দূর্নীতির পরও বহাল তবিয়তে মোহনপুরের ইউএনও আয়শা সিদ্দিকা রাজশাহীতে চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব বন্ধে কঠোর হুশিয়ারি যুবদল নেতা রবি’র পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে কোথাও স্থাপনা করতে না পেরে শেষমেস ভাঙারির দোকানে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ: নাছিম রাজশাহীতে আলু ও তেলের দাম বাড়তি রাজশাহীতে ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বললো মহানগর ছাত্রদল প্রধান উপদেষ্টার সাথে খালেদা জিয়ার মতবিনিময় দেশের সকল ক্ষমতার মালিক হবেন জনগণ: ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
তানোরে ঝর্না আছে পানি নাই ডিস্প্লে আছে ছবি নাই লাইব্রেরী আছে বই নাই

তানোরে ঝর্না আছে পানি নাই ডিস্প্লে আছে ছবি নাই লাইব্রেরী আছে বই নাই

 

তানোর প্রতিনিধি

রাজশাহীর তানোর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সৌন্দর্য্যের জন্য ঝর্না থাকলেও নাই পানি, ডিস্প্লে থাকলেও দেখা যায় না ছবি ও বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল লাইব্রেরী থাকলেও নাই কেন ধরনের বই। দীর্ঘ কয়েক বছর আগে লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হলেও সবকিছুই বিকল হয়ে পড়েছে। ফলে এসব নিয়ে অফিস পাড়ায় নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলেও কোন ব্যবস্থা নাই। এতে করে সরকারি মাল যে কোন জায়গায় ঢাল, দেখারও কেউ নেই, বলারও কেউ নেই অবস্থাটা এমনই বলেই মনে করছেন অফিস পাড়ার কর্মকর্তারা, তা না হলে অবশ্যই সবকিছুই সঠিক ভাবে হত, বা পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ না হলে এমনই হয়।

জানা গেছে, বিগত ২০১৯ সালের দিকে তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম রাব্বী পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল লাইব্রেরী নির্মান ও মুল গেটের উপরে ডিস্প্লে বসানো হয়। ডিস্প্লে বসানোর পর দু এক সপ্তাহ ছবি দেখা গেলেও, তারপর থেকেই বিকল অবস্থায় অবহেলায় পড়ে রয়েছে। আর বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল লাইব্রেরী নির্মানের পর থেকেই কোন বই পত্র নেই। এমনকি এসব কাজগুলো কোন ধরনের টেন্ডার ছাড়াই করা হয়েছে। লাইব্রেরীটি সেমি পাকা প্রায় ৫ লাখ টাকা ও ডিস্প্লেতে ২ লাখ টাকা ব্যয় হবে।

এদিকে এসবের কয়েক বছর আগে তৎকালিন ইউএনও শওকাত আলীর সময় প্রায় ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ঝর্না নির্মান করা হয়। ঝর্না নির্মানের কাজটি করেন ওই সময়ের এলজিইডির হিসাব রক্ষক আজগর আলী। সব মিলে প্রায় ১৫ লাখ ৫০ হাজার থেকে ১৬ লাখ টাকা ব্যয় হবে বলে নির্ভর যোগ্য সুত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে ।

বেশকিছু কর্মকর্তরা জানান, এত টাকা ব্যয়ে এসব কাজ হলেও শুধু অবহেলার কারনে বিকল হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ না করলে এমনই হয়। টাকা খাওয়া ছাড়া কিছুই না। কিভাবে সরকারের টাকা অপচয় হয় সেটাই হয়েছে। এধরনের কত প্রকল্প আছে কে জানে। পরিষদ চত্বরের কাজের যদি এঅবস্থা হয় তাহলে কি বলার আছে। সবগুলো যদি সচল থাকত পরিষদ চত্বর আলাদাই সুন্দর্য্য বহন করত। কিন্তু এসব বলবে কে আর দেখবে কে। এমনকি বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল লাইব্রেরীর ফলক টাও বিভিন্ন পোষ্টারে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। ঝড় বৃষ্টির মধ্যে পড়ে রয়েছে ডিস্প্লে, আর ঝর্নায় পানির বিপরীতে আবর্জনায় ভরা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, আমি যোগদানের অনেক আগেই এসব কাজ হয়েছে। যে কোন কাজ করার আগে সঠিক ভাবে পরিকল্পনা গ্রহন না করলে কাজে সফলতা আসে না। বিষয় গুলো আলোচনা করে সচল করা যায় কিনা চেষ্টা করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

 

Please Share This Post in Your Social Media

ads



© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.