স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে স্কুলছাত্র সানিকে (১৭) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে লাশ নিয়ে মিছিল করেছে এলাকাবাসী। এ সময় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা।
সোমবার (৪ জুলাই) বেলা ৩টার দিকে মহানগরীর গোরহাঙ্গা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্ত্বরে এই বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভে নিহত সানির আত্নীয়-স্বজন ছাড়াও এলাকাবাসী যোগ দেয়।
নিহত সানির লাশ নিয়ে বিক্ষোভকারীরা হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত সকলকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানান। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা লাশ নিয়ে মহাসড়কে বসে পড়লে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ মহাসড়কের সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে রাস্তার দীর্ঘ যানজট বেঁধে যায়।
এদিকে, হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে স্কুলছাত্র সানিকে (১৭) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। রোববার রাতেই নিহত সানির বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে বোয়ালিয়া থানায় হত্যা মামলা করেছেন। তবে মামলার আসামিদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
নিহত সানির মা জানান, গতকাল রোববার আমার ছেলের জন্মদিন ছিলো। তারা বন্ধুরা মিলে জন্মদিন পালন করতে গিয়ে একজন আহত হয় । তাকে চিকিৎসা করানোর জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসাপাতাল থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। তাদের সকলের দৃষ্ট্রান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসি চাই।
নিহত সানির বাবা রফিকুল ইসলাম পাখি বলেন, আমার ছেলে তাদের কে চেনেও না জানেও না। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমার ছেলেকে হত্যা করেছে॥ এই ঘটনায় আমি বাদী হয়ে বোয়ালিয়া থানায় হত্যা মামলা করেছি। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্ট্রান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।
এই বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, রোববার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পূর্বশত্রুতার জেরে রাজশাহী নগরের হেতেম খাঁ সবজিপাড়া এলাকায় সানিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত কিশোরের নাম মো. সানি রাজশাহী পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম ওরফে পাখির ছোট ছেলে। সানি এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। তার বাড়ি নগরের বোয়ালিয়া থানার দড়িখরবোনা এলাকায়।
আই:না