November 25, 2024, 7:48 am

News Headline :
সীমাহীন দূর্নীতির পরও বহাল তবিয়তে মোহনপুরের ইউএনও আয়শা সিদ্দিকা রাজশাহীতে চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব বন্ধে কঠোর হুশিয়ারি যুবদল নেতা রবি’র পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে কোথাও স্থাপনা করতে না পেরে শেষমেস ভাঙারির দোকানে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ: নাছিম রাজশাহীতে আলু ও তেলের দাম বাড়তি রাজশাহীতে ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বললো মহানগর ছাত্রদল প্রধান উপদেষ্টার সাথে খালেদা জিয়ার মতবিনিময় দেশের সকল ক্ষমতার মালিক হবেন জনগণ: ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
রাজশাহীর কেশরহাট পৌর মেয়রের দুর্নীতির গোমর ফাঁস!

রাজশাহীর কেশরহাট পৌর মেয়রের দুর্নীতির গোমর ফাঁস!

সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলররা বলেন, মেয়রের আপন ছোট ভাই পৌরসভায় লাইসেন্স পরিদর্শক পদে চাকরি করেন। তাঁরা দুই ভাই মিলে পৌরসভায় লুটপাট চালাচ্ছেন।

মোহনপুর

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ দুই মেয়াদের সাত বছরে সাত কোটি টাকা দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন কাউন্সিলররা। আজ বুধবার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পৌরসভার পাঁচজন কাউন্সিলর এই অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবুল আক্তার। তিনি বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় প্রতি অর্থবছরে ৭৮ থেকে ৮৬ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে কেশরহাট পৌরসভায়। এ টাকা সামাজিক উন্নয়নে টেন্ডারের মাধ্যমে ব্যয় হওয়ার কথা থাকলেও মেয়র নামমাত্র কোটেশন দেখিয়ে ইচ্ছেমতো বিল-ভাউচার বানিয়ে এসব আত্মসাৎ করেন। পৌরসভা প্রতি বছর হাট-ইজারা দিয়ে এক কোটি টাকার বেশি আয় করে। এ টাকাও লোপাট হয়ে যায়। এ ছাড়া ভূমিকর, রেজিস্ট্রি অফিস ও গৃহকর থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করলেও লুটপাট হয়ে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সম্প্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন পৌরসভায় ৫০ লাখ টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেন। এই টাকার পুরোটাই মেয়র তাঁর অফিস সাজানোর নামে ব্যয় করেন। সরকার কেশরহাট পৌরসভার উন্নয়নে ও রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য মার্কেট নির্মাণ করে দিয়েছে। সেই ভাড়ার টাকাও পৌরসভার তহবিলে জমা হয় না। এ ছাড়া পৌরসভার আরেকটি দোতলা মার্কেট আছে। শতাধিক ঘর কোনো নিয়ম-নীতি ছাড়াই বরাদ্দের মাধ্যমে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন মেয়র শহিদুজ্জামান।

সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলররা বলেন, মেয়রের আপন ছোট ভাই পৌরসভায় লাইসেন্স পরিদর্শক পদে চাকরি করেন। তাঁরা দুই ভাই মিলে পৌরসভায় লুটপাট চালাচ্ছেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনের সময় হলফনামায় মেয়র যে পরিমাণ সম্পদ দেখিয়েছেন, তার চেয়ে এখন বহুগুণ বেড়েছে। তাঁর নিজস্ব ব্যবসা-বাণিজ্য, জমি-জমা বা পরিবারের কেউ চাকরি না করলেও গ্রামে ডুপ্লেক্স দুটি বাড়ি করেছেন মেয়র।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুল হক, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাবের আলী মণ্ডল, ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল হাফিজ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসলাম হোসেন।

তাঁরা বলেন, নির্বাচনের সময় তাঁরা জনগণকে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন। কিন্তু পৌরসভায় গিয়ে দেখছেন জালিয়াতি। তাঁরা জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারছেন না। তাঁদের নাম বিভিন্ন কমিটিতে রাখা হলেও কোনো কাজ থাকে না। সব কাজ একাই করেন মেয়র। এ জন্য তাঁরা এর প্রতিবাদ করছেন।

এ বিষয়ে কেশরহাট পৌরসভার মেয়র ও মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শহিদুজ্জামান শহিদ বলেন, ‘এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ। যাঁরা এসব অভিযোগ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও অনেক অভিযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা নিয়ে আমি ব্যস্ত আছি। ব্যস্ততা শেষ করে তাঁদের অনিয়মের খতিয়ানও জনগণের সামনে উন্মোচন করব।’

Please Share This Post in Your Social Media

ads



© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.