July 7, 2025, 2:41 am

News Headline :
‘‘জুলাই সনদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আছি’’: রাজশাহীতে নাহিদ বাগমারা আওয়ামী লীগের দোসর চেয়ারম্যান মোজাম্মেল এর বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ রাজশাহী প্রেসক্লাবের কথিত সভাপতি ‘জুলু’ সেনা অভিযানে গ্রেফতার রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসরদের অপসারনের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান রাজশাহী প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হলেন গোলাম মোস্তফা মামুন রাজশাহীতে প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা দলের নেতাকে লাথি, এনসিপির রাজশাহীর যুগ্ম সমন্বয়কারীকে অব্যাহতি রথ মেলায় এবার যুবদল সদস্য সুইটের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ বরিশালে রিক্সা চালকদের মাঝে ছাত্রনেতা মাসুম’র রেইনকোর্ট বিতরণ
রাজশাহীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের মেঝে ও দেওয়ালে ফাটল

রাজশাহীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের মেঝে ও দেওয়ালে ফাটল

নাহিদ ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক : মুজিব বর্ষে ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত রাজশাহীর পুঠিয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের কিছু ঘরে দেওয়ালে ফাটল ও ঘরের মেঝে এবং বারান্দা ফেটে বসে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছে স্থানীয়রা।

তবে বর্তমানে ডাঙ্গাপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের শিল্পী বেগম, আছিয়া বেগম এবং রশেনা বেগম এদের তিন জনের ঘরের পিছন সাইডে দেওয়াল ফেটে গেছে। সেই দেওয়াল গুলোতে ইতিপূর্বে সিমেন্ট বালির মসলা দিয়ে নামমাত্র প্লষ্টার করে দেয়। কিন্তু সেই সব ঘরের দেওয়ালে আবারও ফাটল দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয় ঘরের মেঝের চারো দিকে এবং বারান্দায় চারো দিকে ফাটল এবং ফেটে বসে গেছে। এছাড়া অনেক ঘরে বর্ষার সময় পানি পড়ে। ঘরগুলোর যে কোন সময় বড় ধরনের ক্ষতি সাধন হতে পারে বলে জানায় তারা।

উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলায় মুজিব বর্ষে ১ম পর্যায়ে ৫৪টি, ২য় পর্যায়ে ১১০টি এবং ৩য় পর্যায়ে ১৮০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে ৪র্থ পর্যায়ে ২৫৪টি ঘর নির্মাণ কাজ চলছে।

জানগেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের মধুখালী মৌজায় ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে আর.এস খতিয়ান নং ১, দাগ নং ৩১৮৫, জমির পরিমাণ ৩১ শতক। সেই জমির উপর মুজিব বর্ষে ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১৩টি ঘর নির্মাণ করা হয়। সেই ঘর গুলো বরাদ্দ পায়- হনুফা বেগম, সাগর আলী, হালিমা বেগম, রুপজান বেগম, মন্টু আলী, জাকির হোসেন, আকলিমা বেগম, শিল্পী বেগম, আছিয়া বেগম, আনোয়ারা বেগম, সনেকা বেগম, রসেনা বেগম (তবে তিনি থাকে তার পূর্বের বাড়িতে আর সরকারী আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকে ছেলে রুবেল ও তার স্ত্রী) এবং মাজদার হোসেন।ঘর নির্মানের পর থেকে ঘরের দেওয়ালে ফাটল এবং মেঝেতে ফাটলের বিষয়ে পত্রিকায় এবং অনলাইনে সংবাদ প্রচার হয়। এরপর সুবিধাভোগীরা যারা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছে তাদেরকে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। এবং সেই মিটিং-এ বলা হয় সাংবাদিকদের ঘরের বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারবে না। তাই সাংবাদিকরা আশ্রয়ন প্রকল্পে গেলে তারা আতংকে থাকে এবং সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেনা।স্থানীয়রা এবং সুবিধা ভোগীরা জানান, এখানকার সব ঘরেই ফাটল ও ঘরের মেঝে ও বারান্দা ভেঙ্গে বসে গেছে। তবে আপনারা এসেছেন দেখে যান। কারণ এর আগে নিউজ প্রচার হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসে সুবিধা ভোগী আকলিমা বেগমকে ঘর থেকে বের করে দিতে লেগে ছিলো। আর বলে গেছে কোন সমস্যা হলে আমাদেরকে জানাবেন কোন সাংবাদিককে জানানো হলে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হবে। তাই আমরা আপনার সাথে কথা বলতে পারবো না।

জিউপাড়া ইউনিয়নের সদস্য (মেম্বর) হুমায়ন জানান, প্রথমের দিকে ঘর যখন ফাটল দেখা দিয়েছিলে। সে সময় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। তখন পিআইও অফিস থেকে কিছু ঠিকঠাক করে দেয়। বর্তমানে কি অবস্থা তা আমার জানা নাই।প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, কোথায় এই ঘটনা ঘটেছে বলেন সেগুলো ঠিক ঠাক করে নেব।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ জানান, কোথাও কোন ঘরে ফাটল দেখা দেয়নি। আর ঘরে ফাটল বিষয়টি নজরে আসেনি। তবে বিষয়টি দেখবো।

Please Share This Post in Your Social Media

ads

ads



© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.