স্টাফ রিপোর্টার, পাবনা
পাবনার আটঘরিয়ায় সমলয় চাষাবাদ পদ্ধতিতে ব্লক প্রদর্শণীর ‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টার’ যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপন উদ্বোধন করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে চাষাবাদে কম সময়ে, কম খরচে, অধিক ফলন পাবেন কৃষকরা।
বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) দুপুরে উপজেলার কুষ্টিয়াপাড়া গ্রামে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করেন আটঘরিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাকসুদা আক্তার মাশুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি প্রকৌশলী সুমন চন্দ্র কুন্ডু, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সজিব আল মারুফ, উপজেলা মৎস কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম।
আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এবং উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত কৃষক বিপ্লব কুমার সেন। এ সময় অনুষ্ঠানে কৃষক, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সজিব আল মারুফ জানান, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় সমলয় পদ্ধতিতে যন্ত্রের মাধ্যমে রবি মৌসুমে বোরো হাইব্রিড ধানের চারা রোপন করা হবে। কুষ্টিয়াপাড়া গ্রামের ৬৪ জন কৃষকের ১৫০ বিঘা জমিতে এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হবে। এর আগে এই প্রদর্শণীতে যন্ত্রের মাধ্যমে বীজতলা তৈরী করে সেখানে ট্রেতে চারা উৎপাদন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে যন্ত্রের মাধ্যমে ২৫/৩০ দিনে চারা উৎপাদন করা যায়। আগে যেখানে ৪৫/৫০ দিন লাগতো। অল্প খরচে, কম সময়ে, বেশি ফলন উৎপাদন করা যাবে। শ্রমিক সংকটে কৃষককে আর নাজেহাল হতে হবে না। এর মাধ্যমে ২০ থেকে ২৫ ভাগ ফলন বৃদ্ধি পাবে।
কৃষি প্রকৌশলী সুমন চন্দ্র কুন্ডু বলেন, খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় এই পদ্ধতিতে চাষাবাদের মাধ্যমে উৎপাদন খরচ কমবে, পাশাপাশি অপচয় রোধ হবে। বর্তমানে শ্রমিক সংকট ও শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি কৃষকদের অন্যতম সমস্যা।
তিনি বলেন, সনাতন পদ্ধতিতে আগে এক বিঘা জমিতে চারা রোপনে ৪/৫ জন শ্রমিক লাগতো। ২৫শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ হতো। এখন মাত্র এক ঘন্টায়, এক লিটার তেল খরচে কৃষক তার এক বিঘা জমিতে সঠিক মাপে, সঠিক গভীর সহজেই চারা রোপন করতে পারবেন। এজন্য সময়মতো ফসল উৎপাদনে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়াতে হবে।