নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীতে রানার অটোমোবাইলস প্রাইভেট লিমিটেড এর সহায়তায় শতাধিক তরুণ তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। নগরীর ফুদকিপাড়া মুন্নুজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।শনিবার (১১ মার্চ) সকালে প্রধান অতিথি থেকে ফিতা কেটে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম বাবু। অতিথি ছিলেন রাজশাহী মহানগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ আলী মুনমুন, প্রতিষ্ঠানটির নর্থ রিজিয়নের জোনাল ম্যানেজার হাসিবুল ইসলাম, ব্রান্ড ম্যানেজার মিঠুন ভট্টাচার্য, শো-রুম ম্যানেজার ওমর ফারুক জনিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
রানারের কর্মকর্তা মিঠুন ভট্টাচার্য জানান, বাংলাদেশে আমরাই প্রথম দেশিয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ফ্রি প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। এর আগে কুমিল্লা ও খুলনায় ফ্রি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরণের দুর্ঘটনা ঘটছে সড়কে। আমরা প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময়ে সতর্ক বার্তা দিচ্ছি শিখতে আসা চালকদের। আমরা চাই সতর্কতার সাথে চালকরা বাইক চালাবেন। এতে দুর্ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতি দুটোই কমবে। সারা বাংলাদেশেই চলবে রানার ফ্রি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।
তিনি আরো জানান, মাত্র ২০ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে একটি রানার মোটর সাইকেল কেনার সুযোগ থাকছে সকলের জন্য। দুই বছরের কিস্তি সুবিধাতে এ সুযোগ দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যেই আমাদের বৈদ্যুতিক মোটর সাইকেল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি ৬ ঘন্টা চার্জ দিলে অন্তত ৮০ কি.ম চালানো যায়। এই বাইকটির সুবিধা হচ্ছে এটি পরিবেশ বান্ধব, ধোয়া নির্গমন করে না আর গতি ৪০ কি.মি বেশি রয়েছে। এছাড়া মাসে তেল খরচের অর্ধেক টাকাও চার্জের খরচ লাগবে না। এতে প্রতিমাসেই বেশ কিছু টাকা খরচ কমে যাবে। সরকার চাচ্ছে এই গাড়িগুলো সড়কে চলুক, তাই আমরা অন্যান্য বাইকের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক গাড়িকেও বেশ গুরুত্ব দিচ্ছি।
ফ্রি বাইক প্রশিক্ষণ পাওয়া রাজশাহী কলেজের সম্মান তৃতীয় বর্ষ পড়ুয়া মাহি জানান, এই প্রথম আমি মোটরসাইকেল চালিয়েছি। প্রথমে ভয় লাগলেও দক্ষ প্রশিক্ষক থাকায় ভয় কাজ করেনি। রানার কোম্পানির এমন প্রোগামকে সাধুবাদ জানাই। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বাইক চালানোর জন্য তিন থেকে চার হাজার টাকা নেয়। আমাদের এই টাকা বেঁচে গেলো। অন্যান্য মোটর সাইকেল কোম্পানীদের এভাবে এগিয়ে আসা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।