নিজস্ব প্রতিবেকঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্নিকাণ্ড ও হামলার সঙ্গে বহিরাগত বিশেষ গোষ্ঠী জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন উপাচার্য।তিনি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে বহিরাগতরা ছাত্রদের মধ্যে ঢুকে পড়ে সহিংসতা চালিয়েছে। ফলে পরিস্থিতি ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়। কারণ ছাত্ররা আগুন জ্বালিয়ে সহিংসতা করবে সেটা আমরা বিশ্বাস করি না। প্রথম দিকে ছাত্ররা থাকলেও পরে তারা ফিরে গেছে। কিন্তু বহিরাগতরা যায়নি। যারা জড়িত ছিল তাদের খুঁজে বের করতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির কলেবর তিন থেকে পাঁচে বৃদ্ধি করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলেও জানান উপাচার্য।ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে উপাচার্য বলেন, ঘটনা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কি ভূমিকা ছিল সে নিয়ে কথা বলতে চাইনা। তবে আমার সবাই মেলে সচেষ্ট থাকলে এতে বড় ঘটনা এড়ানো যেত।উপাচার্য বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের দাবি মেনে তা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার শিক্ষার্থী প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে। এছাড়াও তিন সদস্য কমিটি পুনর্গঠন করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট করা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবদুস সালাম বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় মামলাটি করেছেন। পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে।মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) থেকে যথারীতি ক্লাস-পরীক্ষা চলবে বলেও জানান উপাচার্য। তিনি বলেন, এর আগে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ফলে রোববার ও সোমবার এই দুই দিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ছিল। তবে মঙ্গলবার থেকে যথারীতি ক্লাস-পরীক্ষা চলবে।শনিবার বগুড়া থেকে বাসে করে রাজশাহী আসছিলেন রাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী। সিটে বসাকে কেন্দ্র করে এক ব্যক্তির সঙ্গে বাগবিতণ্ডার জেরে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। যাদের মধ্যে ৯২ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর ঘটনার জেরে রোবদার দিনভর বিক্ষোভ উত্তাল ছিল ক্যাম্পাস।