নিউজ ডেস্ক: মুসলমানদের অন্যতম ইবাদত পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। করোনভাইরাস মহামারিজনিত বিধিনিষেধের কারণে দুই বছর সংখ্যা হ্রাসের পরে এবার বিদেশ থেকে সাড়ে আট লাখসহ মোট ১০ লাখ পূর্ণ ডোজ টিকাপ্রাপ্ত মুসলমান নিয়ে হজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বুধবার (৬ জুন) লাখ লাখ মুসলমান ইসলামের পবিত্রতম স্থান মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে কাবা শরীফ প্রদক্ষিণ (তাওয়াফ) করেন। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে যাওয়ায় অনেকেই সূর্য থেকে নিজেকে আড়াল করতে ছাতা ব্যবহার করেছেন।
বৃহস্পতিবার হজযাত্রীরা আরাফার ময়দানে মূল অনুষ্ঠানের আগে গ্র্যান্ড মসজিদ থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মিনায় চলে যাবেন।
হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। হজযাত্রীদের জন্য মক্কা ও মদিনায় ২৩টি হাসপাতাল এবং ১৪৭টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রস্তুত করেছে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া মিনায় হজযাত্রীদের চিকিৎসার জন্য চারটি হাসপাতাল ও ২৬টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। রোগীদের নিবিড় পরিচর্যার জন্য এক হাজারেরও বেশি শয্যা রয়েছে এবং বিশেষ করে হিটস্ট্রোক করা রোগীদের জন্য ২০০টিরও বেশি শয্যা রয়েছে। একই সঙ্গে ২৫ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী কেউ অসুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
হজ করতে মিসর থেকে আসা চার সন্তানের জননী ৬৫ বছর বয়সী ফাতেন আবদেল মোনেইম বলেন, এখন পর্যন্ত সব ঠিকঠাক চলছে। আমি অনেক জায়গায় ঘুরেছি এবং দেখেছি নিয়মকানুন সব মান্য করা হচ্ছে।
মিসর থেকে আসা ৪২ বছর বয়সী নাইমা মোহসেন বলেন, এখানে থাকতে পারাটা আমার জীবনের সবচেয়ে সেরা ঘটনা। আমার বাকি আনুষ্ঠানিকতার জন্য তর সইছে না। আমার একমাত্র সমস্যা আবহাওয়া। এখানে খুব গরম।
২০১৯ সালে সারাবিশ্ব থেকে প্রায় ২৫ লাখ মুসলমান হজে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরে মহামারি সংখ্যা হ্রাস করতে বাধ্য করেছিল।
২০২১ সালে মাত্র ৬০ হাজার সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত সৌদির বাসিন্দা হজে অংশ নিয়েছিল, যা ২০২০ সালে ছিল মাত্র কয়েক হাজার। সূত্র: আরব নিউজ