May 19, 2025, 2:39 am

News Headline :
রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব প্রীতি ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত রাজশাহী নার্সিং কলেজে বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিং দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০ রাজশাহী জেলা গণধিকার পরিষদের নতুন কমিটি অনুমোদন স্বামীকে মিথ্যা বিস্ফোরক মামলাতে ফাঁসানোর অভিযোগে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন রাসিক সাবেক মেয়র লিটনের এপিএস টিটু গ্রেফতার রাজশাহীতে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছোট ভাইয়ের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ রাজশাহীতে পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে মারা গেলেন সাবেক কাউন্সিলর রাজশাহীতে সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, সাংবাদিক মহলে নিন্দার ঝড় রাজশাহীতে তীব্র গরমে পথচারীর পাশে মহানগর বিএনপি লিটন ও তার স্ত্রী সন্তানের বিরুদ্ধে দুদকের ৩টি মামলা দায়ের
রাজশাহীতে আলোচিত সানি হত্যা মামলার প্রধান আসামি-সহ আরও ৩ জন গ্রেপ্তার

রাজশাহীতে আলোচিত সানি হত্যা মামলার প্রধান আসামি-সহ আরও ৩ জন গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীর আলোচিত স্কুলছাত্র সানি (১৭) হত্যা মামলার প্রধান আসামি-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে র‌্যাব-৫ এর রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি দল কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার প্রতাপ গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

শুক্রবার বিকালে র‌্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়, এ মামলায় এখন পর্যন্ত র‌্যাব ও পুলিশের অভিযানে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এখনও এজাহারভুক্ত চার আসামি পলাতক। গ্রেপ্তার তিনজনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পলাতক অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।

গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন- হত্যা মামলার প্রধান আসামি নগরীর হেতেমখাঁ এলাকার মঈন ওরফে আন্নাফ (১৭), তার মা জাতীয়তাবাদী মহিলা দল নেত্রী বিথী (৩৬) এবং আন্নাফের বান্ধুবী হাবিবি কুমকুম ওরফে সাবা ঐশী (১৭)। এদের মধ্যে মঈনের মা বিথী মামলার ৫ নম্বর আসামি। তিনি রাজশাহী মহানগর মহিলা দলের ক্রীড়া সম্পাদক।

উল্লেখ্য. এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী সানিকে গত ৩ জুলাই রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সানি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম পাখি নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় ঐশী এজাহারভুক্ত আসামি নন। তবে র‌্যাব বলছে, ঘটনার সঙ্গে তিনিও জড়িত। তাই তিনজন একসঙ্গেই পালিয়ে ছিলেন। তিনজনই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানিয়েছে, সনিকে যখন তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তখন অন্য আসামিদের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া ঐশীও ছিলেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্য বন্ধুকে দেখতে গিয়ে সনিকে দেখতে পান তারা। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাই সনিকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়।

র‌্যাব আরও জানায়, সনির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আসামিরা গা ঢাকা দেন। তারা বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রমের চেষ্টা করেন। এতে ব্যর্থ হয়ে প্রধান আসামি মঈনের মা বিথী নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ের খান বাংলা রেস্টুরেন্টের মালিক খোকনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ৫ জুলাই খোকন আসামি বিথীকে একটি মাইক্রোবাস ঠিক করে দেন। সে মাইক্রোবাসে বিথী, মঈন ও ঐশী নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর হয়ে কুড়িগ্রামে পালিয়ে ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

ads

ads



© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.