November 26, 2024, 4:18 am

News Headline :
অবৈধ দখলদার বুলবুল-হিটলার গংদের আড়াই মাসে কয়েক লক্ষ টাকা ঘাপলা সীমাহীন দূর্নীতির পরও বহাল তবিয়তে মোহনপুরের ইউএনও আয়শা সিদ্দিকা রাজশাহীতে চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব বন্ধে কঠোর হুশিয়ারি যুবদল নেতা রবি’র পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে কোথাও স্থাপনা করতে না পেরে শেষমেস ভাঙারির দোকানে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ: নাছিম রাজশাহীতে আলু ও তেলের দাম বাড়তি রাজশাহীতে ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বললো মহানগর ছাত্রদল প্রধান উপদেষ্টার সাথে খালেদা জিয়ার মতবিনিময় দেশের সকল ক্ষমতার মালিক হবেন জনগণ: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
রাজশাহীতে ইফতারে প্রাণ জুড়াচ্ছে ‘ঘোল’

রাজশাহীতে ইফতারে প্রাণ জুড়াচ্ছে ‘ঘোল’

নাহিদ ইসলাম নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মধ্য চৈত্রের কাঠফাটা গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে রোজাদারদের প্রাণ। দিন শেষে পানি ও পানিজাতীয় খাবারের প্রতি টান বাড়ছে।

তাই ইফতারে ঘোল হয়ে উঠেছে অমিয়। ইফতারের পাতে যত কিছুই থাক এক গ্লাস ঘোল না হলে যেনে পরিপূর্ণ তৃপ্তি মিলছে না অনেক রোজাদারের।

কারণ সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে যে কী পরিমাণ পিপাসা পায়, সেটা রোজাদাররাই উপলব্ধি করতে পারেন। রোজাদারের সেই তৃষ্ণাতে তৃপ্তির জোগান দিচ্ছে রাজশাহী মহানগরীর কিছু ঘোল ব্যবসায়ী।প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে শুরু হয় এই ঘোল বিক্রির পালা। বেলা যতো গড়ায় ক্রেতার উপস্থিতি ততোই বাড়তে থাকে। মূলত দুধ, বিশুদ্ধ পানি এবং অল্প পরিমাণ খাবার সোডা দিয়ে তৈরি করা হয় তৃপ্তিদায়ক এই ঘোল।

রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টের ঘোল বিক্রেতা উত্তম কুমার জানান, প্রতিদিন তিনি ১৮০ থেকে ২০০ লিটার ঘোল বিক্রি করেন।

সাহেববাজারেই থাকা ন্যাশনাল ব্যাংকের নিচে বসা ঘোল বিক্রেতা গৌর ঘোষ জানান, রমজানে তিনি ৮০ থেকে ৯০ লিটার ঘোল তৈরি ও বিক্রি করেন। ঘোলের পাশপাশি তিনি মাঠাও বিক্রি করেন। তবে মাঠার দাম একটু বেশি। এক লিটার ঘোলের দাম ৬০ টাকা এবং এক লিটার মাঠা বিক্রি করেন ৪০ টাকায়।এখানে ছাড়াও মহানগরীর প্রধান প্রধান সড়কের মোড়ে পাওয়া যাচ্ছে বিশেষ এই ঘোল। এরমধ্যে কুমারপাড়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে, সাগরপাড়া মোড় ও মনিচত্বর অন্যতম। প্রতিদিন বিকেল থেকে শুরু করে সন্ধ্যার ইফতার পর্যন্ত এই স্পটগুলো থেকে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে রোজাদাররা সংগ্রহ করেন তাদের পছন্দের ঘোল।

মহানগরীর সুলতানাবাদ এলাকার রেজাউল হক বলেন, তার ও তার পরিবারের সবাই ইফতারে ঘোল খুব পছন্দ করেন। তাই রমজান মাস এসে প্রায় প্রতিদিনই তিনি সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট থেকে ঘোল নিয়ে যান।

মহানগরীর সাগরপাড়া এলাকার আসিফ আহমেদ বলেন, ইফতারে যাই থাকুক তার সঙ্গে এক গ্লাস ঠাণ্ডা ঘোল না হলে যেন চলেই না। এই ঘোল মনের মধ্যে এক অন্যরকম তৃপ্তি এনে দেয়। তাই তিনি রমজানে এলে প্রতিদিনই বাড়ি ফেরার সময় এখান থেকে ঘোল কিনে নিয়ে যান।

Please Share This Post in Your Social Media

ads



© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.