নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল জলিলকে বিদায় সংবর্ধনা জানালেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল।
বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে নিজ সভা কক্ষে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাজশাহী জেলা পরিষদ। এসময় জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মু: রেজা হাসান।সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শুরুতেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবদেন করে বলেন, জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল ছিলেন আমাদের একান্ত আপনজন। তিনি এখানে থাকাকালীন সময়ে রাজশাহীবাসীর কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তিনি রাজশাহীতে যখন জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব নেন, তখন পুরো বিশ্ব করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল। করোনা কালীন সময়ে তিনি মানবতার সেবায় নিজেকে উজাড় করে দেন। আমরা এও জানি, সেই সময় মরণব্যাধি করোনায় তিনিও আক্রান্ত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা করোনায় আক্রান্ত মানুষের জন্য যে অনুদান দিয়েছিলেন, আমাদের জেলা প্রশাসক তার সঠিক ব্যবহার করে রাজশাহীবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আব্দুল জালিল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ স্থানে সম্মান প্রদান করেছেন এবং তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নগরীর সাগরপাড়ায় একটি জমি দিয়েছেন। আপনি যেখানে থাকুন আপনাকে আমরা সবসময় মনে রাখবো। আমরা রাজশাহীবাসী আপনার উত্তরোত্তর উন্নতি ও সাফল্য কামনা করি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদায়ী জেলা প্রশাসক বলেন, আমি সাধরণত সব স্থানে যাওয়ার সুযোগ পাইনা। বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবালের ডাকে জেলা পরিষদে আসার সুযোগ হাতছাড়া করিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের যেকটি সম্পদশীল জেলা পরিষদ রয়েছে, তার ভিতর রাজশাহী অন্যতম। আপনারা আপনাদের সম্পত্তির সঠিক ব্যবহার করলে জেলা পরিষদকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। আমি বাংলাদেশের যে প্রান্তে থাকি না কেন সর্বদা আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ্ ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মো: মাইনুল ইসলাম এবং অনুষ্ঠানের সঞ্চলনা করেন রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মু: রেজা হাসান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী, সদস্য-৪ ( মোহনপুর) দীলিপ কুমার সরকার, সদস্য-১ (গোদাগাড়ী) আব্দুর রশিদ, সদস্য-৬ (বাগমারা) মোঃ আবু জাফর প্রাং, সদস্য-৮ (চারঘাট) মো: জনাব আলী, সদস্য-৯ (বাঘা) মো: মহিদুল ইসলাম, সংরক্ষিত সদস্য-১ (গোদাগাড়ী, তানোর ও পবা) শিউলী রানী সাহা, সংরক্ষিত সদস্য-২ (মোহনপুর, দূর্গাপুর ও বাগমারা) সুলতানা পারভীন রিনা, সংরক্ষিত সদস্য-৩ (পুঠিয়া, চারঘাট ও বাঘা) মোসা: সাজেদা বেগম, সহকারী প্রকৌশলী এজাজুল আলম, উপ সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, প্রধান হিসাবরক্ষক আব্দুল মতিন, সার্ভেয়ার আলিফ আলী সহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।