নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে নিজ থানা এলাকার বাইরে গিয়ে তর্কে জড়ানোর কারণে শহিদুল্লা কায়সার নামে পুলিশের এক উপপরিদর্শককে (এসআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাঁকে রাজশাহী পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।
শহিদুল্লা কায়সার নগরের বোয়ালিয়া থানার শিরোইল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ছিলেন।এদিকে, ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন নগরের চন্দ্রিমা থানার নিউ কলোনি এলাকার মো. লাদেন (২২) ও দাশপুকুর এলাকার ইমরান হোসেন (২৪)।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপপরিদর্শক শহিদুল্লা কায়সার গতকাল বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে দায়িত্ব শেষ করে নগরের কাজিহাটা এলাকায় যান। সেখান থেকে কোর্ট স্টেশন হয়ে নগরের বহরমপুর এলাকা হয়ে শিরোইল পুলিশ ফাঁড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। নগরের ডিঙ্গাডোবা এলাকায় মারামারির ঘটনা দেখে তিনি সেখানে গিয়ে তর্কে জড়ান।সেখানে সন্দেহভাজন কয়েকজন ছিনতাইকারীকে মারধর করছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাঁদের (ছিনতাইকারী) ছেড়ে দিতে বলেন। এ সময় ছিনতাইকারীর পক্ষ নেওয়ায় ওই পুলিশ কর্মকর্তাকেও মারধর করেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে আটক করে পুলিশের একটি টহল দল। নিজ এলাকার বাইরে গিয়ে তর্কে জড়ানোর কারণে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়।প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি জানান, ছিনতাইকারী সন্দেহে তিনজনকে এলাকাবাসী আটক করে মারধর শুরু করেন। তখন হঠাৎ এসআই শহিদুল্লা কায়সার সেখানে গিয়ে ওই ছিনতাইকারীদের পক্ষে সাফাই গান এবং তাঁদের ছেড়ে দিতে বলেন। তখন এলাকাবাসী তাঁর ওপর চড়াও হন।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) রফিকুল আলম বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে। নগরের রাজপাড়া থানায় একটি মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ প্রত্যাহারের বিষয়ে তিনি বলেন, নিজ এলাকার বাইরে অন্য একটি ঘটনায় সম্পৃক্ত হন তিনি। এ জন্য ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্তের পর তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যত্যয় পাওয়া গেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।