নিজস্ব প্রতিবেদক: র্যাব হেফাজতে নির্যাতনে নয়, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণেই নওগাঁর জেসমিন সুলতানার মৃত্যু হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় ও ময়নাতদন্তকারী টিমের প্রধান অধ্যাপক ডা. কফিল উদ্দিন সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার বিকালে জেসমিনের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২২ মার্চ ভূমি অফিসের কর্মী নওগাঁ শহরের জনকল্যাণপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুলতানা জেসমিনকে আটক করে র্যাব।এর পর অসুস্থ অবস্থায় তাকে প্রথমে নওগাঁ সদর হাসপাতালে এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
পর দিন ২৩ মার্চ বিকালে রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এনামুল হক। চিকিৎসাধীন পরদিন শুক্রবার মারা যান জেসমিন। এনামুলের হকের ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণেই র্যাব বাধ্য হয় সুলতানা জেসমিনকে আটক করতে। ঘটনার পরে এনামুল যেসব বক্তব্য গণমাধ্যমকে দেন, তাতেও তাঁকে নিয়ে নানা সন্দেহ দেখা দেয়। এনামুলের বিরুদ্ধে এর আগে চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগে মামলা রয়েছে। ওই মামলায় জামিনে আছেন তিনি। এনামুল হক অভিযোগ করেন, তার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে হ্যাকাররা প্রতারণা করে আসছিল। সেই অর্থ জেসমিনের একাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন হত। তবে এখন পর্যন্ত প্রতারণার শিকার হয়ে অর্থ খোয়ানো এমন কাউকে পাইনি তদন্তকারী সংস্থাগুলো।