November 26, 2024, 10:44 am

News Headline :
অবৈধ দখলদার বুলবুল-হিটলার গংদের আড়াই মাসে কয়েক লক্ষ টাকা ঘাপলা সীমাহীন দূর্নীতির পরও বহাল তবিয়তে মোহনপুরের ইউএনও আয়শা সিদ্দিকা রাজশাহীতে চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব বন্ধে কঠোর হুশিয়ারি যুবদল নেতা রবি’র পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে কোথাও স্থাপনা করতে না পেরে শেষমেস ভাঙারির দোকানে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ: নাছিম রাজশাহীতে আলু ও তেলের দাম বাড়তি রাজশাহীতে ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বললো মহানগর ছাত্রদল প্রধান উপদেষ্টার সাথে খালেদা জিয়ার মতবিনিময় দেশের সকল ক্ষমতার মালিক হবেন জনগণ: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
পরকীয়ার জেরে তানোর ভুমি অফিসের কর্মচারিকে পিটুনি

পরকীয়ার জেরে তানোর ভুমি অফিসের কর্মচারিকে পিটুনি

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌর সদরের ইউনিয়ন ভূমি অফিসের বিতর্কিত নায়েব লুৎফর রহমানের সহযোগীতা বা ইন্ধনে অফিস কক্ষে তার আপন নাতি শাহরিয়ার শান্তকে দিয়ে স্থানীয় স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর সাথে প্রেমলীলা, পালিয়ে বিয়ে করার কু পরামর্শ দেওয়ার কারনে গণধোলাই দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ।

গণধোলায়ের পর থেকে নায়েবের নাতি শান্ত অফিস করছেন না এবং নায়েব লুৎফর ঘটনা ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে। শুধু তাই না নাতি শান্তর স্ত্রী সন্তান থাকার পরও নায়েব এমন কাজে সহায়তা করে স্ত্রী কে তালাক করে সন্তানকে মা হারা করে দিয়েছেন বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন ।গত সোমবার অফিস সংলগ্ন স্থানে গণধোলায়ের ঘটনা ঘটে। এঘটনার পর থেকে শান্তু অফিসে আসেন নি। এতে করে নায়েব লুৎফর ও আউট সর্সিংয়ে কাজ করা উমেদার নাতি শান্তকে আইনের আওতায় এনে চরম শাস্তির দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। নচেৎ এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে এবং নানা নাতিকে চরম গণধোলায়ের আশংকা করছেন।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার আমশো ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব হিসেবে দীর্ঘ দিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন পিয়ন থেকে উঠে আসা দূর্নীতিবাজ লুৎফর রহমান। এঅবস্থায় নায়েব লুৎফর আউট সর্সিংয়ে উমেদার পদে কাজ করার সুযোগ দেন তার নাতি শাহরিয়ার শান্তকে।

তিনি বিগত তিন বছর ধরে ভূমি অফিসে আউট সর্সিংয়ে কাজ করলেও নাতিকে সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে রেখেছিলেন নায়েব। এই সুযোগে স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্রীর সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এমন কি অফিসের পার্শের কক্ষে ওই ছাত্রীকে নিয়ে প্রেম লীলাসহ নানা অপকর্ম করতেন শান্তু।সবকিছু দেখে নায়েব নাতিকে সাহস যুগাত। কারন শান্তুর স্ত্রী সন্তান আছে। তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে মরিয়া ছিলেন নানা। একারনে স্কুল ছাত্রী ধনাঢ্য পরিবারের মেয়ের সাথে পরকীয়া প্রেম করার সুযোগ করে দেন।

শান্তুর বাড়ি পবা উপজেলার দারুশা এলাকায়, সে ফারুকের ছেলে। শুধু তাই অফিসের যে কোন কাজ করতে হলে শান্তর তদবির ছাড়া হত না।

স্থানীয়রা জানান, নায়েব লুৎফর ছিল নামে মুল কাজে ছিল তার নাতি শাহরিয়ার শান্তু। সে তো বড় কর্তা হয়ে অফিস পরিচালনা করত।প্রায় দিন দুপুরের পরে ওই স্কুল ছাত্রীকে অফিসের পার্শের রুমে দরজা জালানা বন্ধ করে ঘন্টার পর ঘন্টা পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত থাকত।

একাধিকবার নায়েবকে বলার পরও কোন ব্যবস্থা নেয় নি। বরং উল্টো নাতির সাফায়ে ছিল। শুধু নাতিকে না এবার নানাকেও গণধোলাই দিতে পারে উত্তেজিত জনগন। কারন অফিস এখন দূর্নীতি দালালিসহ প্রেমলীলা ও অপকর্মের আতুর ঘরে পরিনত করেছেন নায়েব ও নাতি শান্ত।

এমনকি বৃহস্পতিবার ছুটির পর অফিসেই থেকে যেত শান্ত। তার নানার কারনেই এমন ঘটনা অফিসে ঘটেছে। পার্শের রুমে চকি, বিছানা, চেয়ার টেবিলও রয়েছে।নাতি উমেদার শাহরিয়ার শান্ত জানান, আমার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়েছিল, আমরা কোর্টে বিয়ে করেছিলাম, কিন্তু আমাকে অন্যায় ভাবে মেরে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে।

আপনার স্ত্রী থাকার পরও কিভাবে নাবালক ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, সম্পর্ক হওয়ার পর স্ত্রী আমাকে তালাক দেয় এবং আড়াই বছরের সন্তান রয়েছে। আমি বিয়ে করেছি নানা সবই জানত, সে বলেছিল মিমাংসা করে দিব। কারন নানা শুরু থেকে সব কিছু বিষয়ে অবহিত ছিলেন। গত সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবারে আমশো ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে নায়েবকে পাওয়া যায় নি। তিনি হাজিরা খাতায় সহি করে চলে গেছেন।নায়েব লুৎফর রহমান জানান, এসব বিষয়ে কোন কথা বলা যাবে না, যা হয়েছে সমাধান করা হবে।

আপনার পার্শ্বের রুমে কিভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা প্রেমলীলা হত জানতে চাইলে তিনি জানান, শুধু কি আমার নাতি শান্তুর দোষ, এক হাতে তালি বাজেনা।

আপনার জন্য দুটি মেয়ের জীবন নষ্ট হয়েছে জানার পরো কেন ব্যবস্থা নেন নি প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন কাজে ব্যস্ত কথা বলতে পারব না।

স্থানীয় যুবকদের রেখে আপনার নাতি কে কিসের বিনিময়ে উমেদার হিসেবে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন ও কত সাল তারিখে যোগদান করেছে জানতে চাইলে প্রচুর উত্তেজিত হয়ে কোন কথা না বলে ব্যাপক দাম্ভিকতা দেখিয়ে বলেন ডিসি ইউএনও স্যারের প্রত্যায়নে কাজ করে। আপনি গত তিনদিন হাজিরা খাতায় স্বক্ষর করে চলে গেছেন কি কারনে জানতে চাইলে জানান সরকারি কাজে যেতে হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, আউট সর্সিং উমেদার হিসেবে কাজ করানোর জন্য প্রত্যায়ন দেওয়া হয়েছিল, এমন ঘটনা ঘটে থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

ads



© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.