নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়ন গবেষণা প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত “ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন” শীর্ষক খামারী মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দিনব্যাপি ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কেন্দ্র রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় এই মাঠ দিবসটি অনুষ্ঠিত হয়।
খামারি মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট, সাভার ঢাকা এর সম্মানিত মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।বিশেষ অতিথি অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট অতিরিক্ত পরিচালক ড.মোঃ জিল্লুর রহমান ও রাজশাহী জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. জুলফিকার মোঃ আক্তার হোসেন।
সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং পিডি, পোল্ট্রি গবেষণা উন্নয়ন জোরদারকরন প্রকল্প ডঃ সাজেদুল করিম সরকার, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং পিডি, মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্প ড.গৌতম কুমার দেব।অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়ন গবেষণা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড.সাদেক আহমেদ।
এ সময় তিনি ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের বিভিন্ন উপকারী দিক ও ছাগল পালনের গুরুত্ব নিয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এছাড়াও তিনি প্রকল্পটির অগ্রগতি ও সফলতা সম্পর্কে আলোকপাত করে বলেন, ব্ল্যাক বেঙ্গলজাত এটি আমাদের দেশীয় ছাগলের জাত এবং এর বাচ্চা উৎপাদন ক্ষমতা অন্যান্য ছাগলের তুলনার চাইতে বেশী। এজাত সংরক্ষণের জন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।প্রধান অতিথির বক্তব্যে, বিএলআরআই এর মহাপরিচালক বলেন, কম খরচে কিভাবে টি এম আর ব্যবহার করে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল মোটাতাজাকরণের মাধ্যমে লাভবান হওয়া যায়। এছাড়া তিনি বৈজ্ঞানিক উপায়ে ছাগল পালনে খাদ্য ও প্রজনন ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব আলোচনা করেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তার বক্তব্যে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, এটি বাংলাদেশের একটি নিজেস্ব জাত। এ জাত যাতে সংকরায়ণের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে না যায় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন এবং এটি সংরক্ষণ করার জন্য এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।এছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্যের ৭ নম্বর দেওপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন তার এলাকায় উক্ত প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন নতুন ছাগল খামারি তৈরি হচ্ছে এবং তারা ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছে।এ সময় তিনি বিএলআরআই কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গোদাগাড়ী বিএলআরআই আঞ্চলিক কেন্দ্রর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও সাইট ইনচাজ নূরে হাছনি দিশা। এছাড়াও গোদাগাড়ী উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। খামারি মাঠ দিবসে মোট ৩৫০ জন খামারি অংশগ্রহণ করেন।