নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক নিউমার্কেট শাখার সাবেক ইনভেস্টমেন্ট অফিসার মিজানুর রহমানের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে আলমগীর হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী। আলমগীর শোভা রিয়েল এস্টেট নামে একটি ডেভেলপার কোম্পানীর চেয়ারম্যান এবং কাঁচামাল ব্যবসায়ী। তিনি শিলিন্দা চৈতির বাগান এলাকার খাইরুল বাসার এর ছেলে। ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেন এর প্রতিকারের জন্য আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন রাজশাহী শাখা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ব্যবসার জন্য দীর্ঘদিন থেকে ইসলামী ব্যাংক রাজশাহী নিউমার্কেট শাখার সঙ্গে অর্থনৈতিক লেনদেন করেন। অত্র ব্যাংকে তাঁর সিসি লোনও রয়েছে। এ সুবাদে প্রায় সময়ে তিনি ব্যাংকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতেন। এই ব্ল্যাঙ্ক চেক নিয়ে মিজানুর রহমান ব্যক্তিগত ভাবে সাড়ে চল্লিশ লক্ষ টাকার একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। সেইসাথে এই টাকার জন্য বিভিন্ন সময়ে রাস্তাঘাটে হুমকী ধামকী দিচ্ছেন মিজান। শুধু তাই নয় ৩১ মার্চ ও ৩ এপ্রিল তাঁর নিজ বাড়িতে মিজান ১৫-২০জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা করে ভাঙ্গচুর ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
সন্ত্রাসীদের কবল থেকে রক্ষা পেতে ৯৯৯ এ কল করলে দুইবারই পুলিশ এসে তাদের সহযোগিতা করেন। এ সময়ে সন্ত্রাসীরা চলে যায় বলে জানান তিনি। এই টাকা সম্পর্কে আলমগীর বলেন, মিজানুর রহমান যে টাকা দাবী করছেন তা ভিত্তিহীন। কারন তাঁর সাথে ব্যক্তিগত কোন টাকা লেনদেন তাঁর কখনোই হয়নি।
আলমগীর আরো উল্লেখ করেন, বিগত প্রায় দুই বছর পূর্বে নাসির উদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী বনমালা খাতুন বনির এর নিকট হতে ইসলামী ব্যাংক রাজশাহী নিউমার্কেট শাখার নিলাম এর মাধ্যমে জেলা রাজশাহী, থানা ও সাব রেজিষ্ট্রি অফিস পবা, ইউনিয়ন হড়গ্রাম, মৌজা খিরসিন, জে.এল নং-হাল-৬৩, প্রজার খতিয়ান- এস.এ ২৫০, আর.এস-৯৭, প্রস্তাবিত খতিয়ান-৭০০, হিসাব নং-৮৭৬, খারিজ কেস নং-২৪৫৬/৯-১/২০০৫-০৬, দাগ নং সি.এস ও এস.এ-১৩৭৮, আর.এস দাগ নং-১৭৭৪. রকম- ধানী, জমির পরিমান-.১৭৩৩একর।আরেকটি জেলা রাজশাহী, থানা ও সাব রেজিষ্ট্রি অফিস পবা, ইউনিয়ন হড়গ্রাম, মৌজা খিরসিন, জে.এল নং-হাল-৬৩, প্রজার খতিয়ান- এস.এ ২৫০, আর.এস-৯৭, প্রস্তাবিত খতিয়ান ১৯৫৪, হিসাব নং-২৪৫১, খারিজ কেস নং-৩৮৮৬/৯-১/২০১৫-১৬ ইং, দাগ নং সি.এস ও এস.এ-১৩৭৮, আর.এস দাগ নং-১৭৭৪. রকম- ধানী, জমির পরিমান-.০৪৬৭ একর জমি ক্রয় করেন। এই জমি আজও ব্যাংক তাকে বুঝে দেয়নি। উপরোন্ত ঐ জমির মালিকগণ তাঁর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আলমগীর আরো বলেন, মূলত এই জমির বিষয় নিয়ে মিজানুর রহমান তার সাথে এই ধরনের আচরণ করছে। এই নিয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে বলে জানান আলমগীর। জমি বুঝে দিতে ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজারকে বার বার বললেও তিনি কোন কর্ণপাত করছেন না। এই জমি তিনি বুঝে দিতে পারবে না বলে ফিরিয়ে দিচ্ছেন বলে জানান তিনি। এই সন্ত্রাসী মিজানুর রহমানের কবল থেকে রক্ষা ও তার দৃষ্টান্ত শাস্তি এবং তাঁর ক্রয়কৃত সম্পত্তি বুঝে দিতে কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী করেন আলমগীর হোসেন।