নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহী মহানগরীর ফায়ার সার্ভিস মোড়ে ছোট ভাই মামুনুর রশিদের কনফেকশনারীর দোকান দখলে নিতে বড় ভাই আওয়াল হোসেন এর বিরুদ্ধে দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় বড়ভাই ক্ষমতাশালী হওয়াতে ছোট ভাইকে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় প্রায় ১২ঘন্টা অবৈধভাবে আটক করে রাখার অভিযোগও করেন ভুক্তভোগী ছোট ভাই মামুনুর রশিদ।
জানা যায়, রাজশাহী মহানগরীর সিপাইপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের দুই ছেলে ছোট ভাই মামুনুর রশিদ ও বড়ভাই আওয়াল হোসেন এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস মোড়ের একটি দোকানকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ বিবাদ চলে আসছিল। দোকানটি মামুনুর রশিদ দির্ঘ ২৫বছর পূর্বে ১৯৯৮সালে সেখপাড়া এলাকার মৃত ময়েজ উদ্দিন এর ছেলে মনির শেখ এর কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে কনফেকশনারীর দোকান পরিচালনা করে আসছিলেন। হটাৎ গত বছরের ১৩ডিসেম্বর মামুনুর রশিদের বড়ভাই আওয়াল হোসেন দোকান মালিক মনির শেখ এর নামে মামলা না করে পরিকল্পিতভাবে মামুনুর রশিদের ভাড়া নেয়া দোকান গ্রাস করতে তারনামে মিথ্য মামলা করেন। মামলা করে কোন ভাবে দোকানটি দখলে নিতে না পেরে গত ৯এপ্রিল আওয়াল হোসেন সন্ত্রাসীদের নিয়ে মামুনুর রশিদের ভাড়া নেয়া কনফেকশনারীর দোকানটি ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে মামুনুর রশিদকে দোকান থেকে বেরকরে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয় আওয়াল হোসেন। কনফেকশনারীর দোকানটি ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে ক্ষ্যান্ত হননি তিনি । তিনি রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ দিয়ে কোন মামলা বা অভিযোগ ছাড়াই মামুনুর রশিদকে অবৈধ আটক করে রাখে। পরে দির্ঘ ১২ঘন্টা পর তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তেভোগী মামুনুর রশিদ বলেন, প্রভাবশালী বড় ভাই আওয়াল হোসেন দ্বারা প্রতিনিয়ত তাকে হয়রানীর স্বীকার হতে হয়েছে। এমনকি তার দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে তাকে দোকান থেকে বের করে দিয়ে দোকানে তালা মেরে দিয়েছে। লুট করেছে 2টি ফ্রিজ,দোকানের আসবাবপত্র ও নগদ ২৫,০০০/পচিশ হাজার টাকা। এতো ক্ষতি করেও আওয়াল হোসেন আমাকে পুলিশ দিয়ে কোন অভিযোগ ও মামলা ছাড়া অবৈধ্যভাবে প্রায় ১২ঘন্টা থানায় আটক করে রেখেছিলেন। আমি এমন হয়রানীর প্রতিবাদ করছি । সেই সাথে আমার বড়ভাই আওয়াল হোসেন এর বিচার দাবি করছি বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ।