May 25, 2025, 11:12 pm

News Headline :
১০ দফা দাবিতে রাজশাহীসহ সারাদেশে পেট্রোল পাম্প বন্ধ! রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব প্রীতি ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত রাজশাহী নার্সিং কলেজে বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিং দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০ রাজশাহী জেলা গণধিকার পরিষদের নতুন কমিটি অনুমোদন স্বামীকে মিথ্যা বিস্ফোরক মামলাতে ফাঁসানোর অভিযোগে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন রাসিক সাবেক মেয়র লিটনের এপিএস টিটু গ্রেফতার রাজশাহীতে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছোট ভাইয়ের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ রাজশাহীতে পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে মারা গেলেন সাবেক কাউন্সিলর রাজশাহীতে সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, সাংবাদিক মহলে নিন্দার ঝড় রাজশাহীতে তীব্র গরমে পথচারীর পাশে মহানগর বিএনপি
গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে উধাও ভুয়া এনজিও

গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে উধাও ভুয়া এনজিও

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: এক লাখ টাকা জামানত রাখলে মাসে লাভ দেওয়া হবে ১৩৫০ টাকা। যখন ইচ্ছে চাইলেই টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। সাত বছর মেয়াদে টাকা রাখলে পাওয়া যাবে জামানতের দ্বিগুণ টাকা। এমন লোভনীয় প্রতিশ্রুতি দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে কয়েকশ গ্রাহকের প্রায় কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন অনিবন্ধিত ও অবৈধ এনজিও সজাগ দারিদ্র্য উন্নয়ন সংস্থার দুই মালিক।

জামানতের টাকা ফেরতের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহক ও এনজিওর কর্মীরা। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে জেলা শহরের শান্তিমোড়ের এক গ্রাহকের বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা শহরের সোনারমোড় এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে বেবী বেগম বলেন, আমার ছেলে এখনো এনজিওতে টাকা রাখার বিষয়টি জানে না। আমি তাকে বলতেও পারব না। সজাগ দারিদ্র্য উন্নয়ন সংস্থার মালিক ইরানী খাতুন ও মাসুদ রানা দুইজনই পালিয়েছেন। কোথায় যাব, কার কাছে যাব কিছুই বুঝতে পারছি না। চোখের পানি ফেলা ছাড়া কোনো উপায় নেই। পরিবারের লোকজনকে বলেছি, আমি মারা যাওয়ার পর ছেলেকে এনজিওতে টাকা রাখার কথা বলিও। তার আগে জানলে ছেলে হার্ট অ্যাটাকে মারা যাবে।

চুনারীপাড়া মহল্লার আসলাম আলীর স্ত্রী পলি বেগম বলেন, স্বামীর অনেক কষ্টে জমানো টাকাগুলো এনজিওতে জমা নেয়ার জন্য বাসায় অনেকবার এসেছিল সজাগ দারিদ্র্য উন্নয়ন সংস্থার মালিক ইরানী খাতুন ও মাসুদ রানা। টাকা নেওয়ার সময় বলেছিল, যখন আপনাদের প্রয়োজন হবে টাকা পেয়ে যাবেন। এখন গত ৮-৯ মাস থেকে টাকা চাইলেও বিভিন্ন অযুহাতে ঘুরাচ্ছে। তারা দুইজনই পালিয়েছে। এখন আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি।

এনজিওর মাঠকর্মী ফাতেমা বেগম বলেন, আমাকে দিয়ে গ্রাহকদের টাকা আদায় করেছে। তারা পালিয়ে যাওয়ায় গ্রাহকরা আমার ওপর চাপ দিচ্ছি। আমার নিজেরও ৫০ হাজার টাকা জামানত ও ৮০ হাজার টাকা বেতন বাবদ পাওনা রয়েছে। অথচ তারা দুইজন এসব টাকা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় জমি ও বাড়ি ক্রয় করেছে। প্রশাসনের নিকট দাবি, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমাদের জামানতের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করুন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী গ্রাহক লতা বেগম, আসলাম আলী, ইশরাত জাহান প্রমুখ৷ এ বিষয়ে সজাগ দারিদ্র্য উন্নয়ন সংস্থার দুই মালিক ইরানী খাতুন ও মাসুদ রানার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি বাড়িতে গিয়েও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।

এনজিও মালিক ইরানী খাতুনের ছেলে লুৎফর রহমান ইমু বলেন, মাসুদ রানা ও আমার মায়ের যৌথ মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সজাগ দারিদ্র্য উন্নয়ন সংস্থা। আমার জানা মতে, জনগণের প্রায় ৪০ লাখ টাকা জামানত রয়েছে এবং ৩০ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া আছে। কিন্তু অজানা কারণে মাসখানেক আগে থেকে আমার মা নিখোঁজ রয়েছে। মাকে সন্ধান করার পর মাসুদ রানা ও গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে এর সমাধান করতে উদ্যোগ নিব। তবে মা নিখোঁজের ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

জানা গেছে, সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধন রয়েছে সজাগ দারিদ্র্য উন্নয়ন সংস্থার।

এ বিষয়ে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোসা. উম্মে কুলসুম জানান, এই এনজিওটি সম্ভবত আমাদের নিবন্ধিত নয়। আমাদের নিবন্ধন নিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান আর্থিক লেনদেন করতে পারবে না। আমরা শুধুমাত্র সমাজসেবামূলক কাজের জন্য নিবন্ধন দিয়ে থাকি। মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটির নিবন্ধন ছাড়া ক্ষুদ্র ঋণের কার্যক্রম পরিচালনা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ।

Please Share This Post in Your Social Media

ads

ads



© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.