আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অন্য সময় একে অপরের দিকে বন্দুক উঁচিয়ে থাকাই দস্তুর। কিন্তু রবিবার অন্য ছবি দেখল চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। বকরি ইদের দিন সীমান্তে নেই গুলি, বন্দুক। বরং মিষ্টির বাক্স আদানপ্রদানে প্রতিবেশীর সঙ্গে সীমান্তে উৎসবের মেজাজ।
গুজরাত ফ্রন্টিয়ারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা রবিবার সকালেই পাকিস্তানের রেঞ্জার্সদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন। শুভেচ্ছা বিনিময় হল, আর মিষ্টিমুখ হবে না, তা আবার হয় না কি! ও পাশ থেকে এল সুদৃশ্য মিষ্টির প্যাকেট। এ পাশ থেকেও গেল বাক্স ভর্তি মিষ্টি। গুজরাত সীমান্ত ছাড়াও রাজস্থানের বারমের জেলার পাক সীমান্তেও দেখা গেল কুরবানির ইদের দিনে এমনই ছবি।
খাসির বিরিয়ানি থেকে গোস্ত হালিম, শাম্মি কাবাব, রেশমি কাবাব, খাসির কোর্মা কিংবা বাদশাহি ফিরনি— ইদের দিনে পাতে পড়ে হরেক রকম সুখাদ্য। সাধারণত পরিবার-সহ জাতির মঙ্গলকামনা করে ভেড়া বা ছাগল উৎসর্গ করা হয়। তার পর সেই মাংসই বিলিয়ে দেওয়া হয় আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে। কুরবানির ইদে গরিব দুঃখীদেরও ভালমন্দ খাওয়ানোর প্রচলন বহু প্রাচীন।
দু’দেশে শত্রুতা যতই থাক, উৎসবের দিনে সীমান্তে এমন দৃশ্য দেখতেই অভ্যস্ত ভারত, পাকিস্তান। শুধু ইদই নয়, দীপাবলি, হোলি কিংবা খুশির ইদেও দুই দেশের সীমান্ত প্রহরীরা নিজেদের মধ্যে মিষ্টি বিনিময় করেন। একে অন্যকে আলিঙ্গন করেন। সূত্র:আনন্দবাজার পত্রিকা