নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীতে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে তাপমাত্রার পারদ। রাজশাহীতে একের পর এক তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। গত প্রায় এক সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামছেই না।
গত সপ্তাহ থেকে রাজশাহীর তাপমাত্রা নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের সূত্র মতে, টানা ২৫ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গেছে তাপমাত্রা। আজ সোমবার রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি এবছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। তবে এটি যে শেষ এমনটিও নয়, রাজশাহীর আবহাওয়া অফিস বলছে, তাপমাত্রা আরো বাড়বে।
কারণ সামনে রাজশাহীতে বৃষ্টিপাতের কোনোর সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে না। আর বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এই তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভানাও নেই। এছাড়াও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা উঠে গেছে একেবারে উপরে। আজ সোমবার রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা উঠে গেছে ৩০ দশমিক ২ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা থাকার কথা ছিল ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসেনর মধ্যে। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জেষ্ঠ্যপর্যবেক্ষক রাজিব খান জানান, গত এক সপ্তাহ থেকে উত্তরাঞ্চলের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামেনি। প্রতিদিন তাপমাত্রা কিছুটা হলেও বেড়েছে। প্রতিদিন দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস করে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোনো কোনো দিন তার চেয়েও বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে তাদের যে ম্যাসেজ দেয়া হয়েছে তাতে রাজশাহীতে তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে। কারণ রাজশাহীতে বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভনা নেই। এমনকি তাপমাত্রা কমবে এমনটাও কোনো সম্ভনা দেখা যাচ্ছে না।
সব মিলিয়ে রাজশাহীতে এবার তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঠেকতে পারে বলেও তিনি জানান। তিনি বলছেন, আবহাওয়া অফিসের হিসাব অনুযায়ী তাপমাত্রা দেখানো হয়। কিন্তু বাস্তবে দুপুরে তাপমাত্রা আরো বেশি থাকে। তিনি বলেন, গত ১৯৯৩ সালে এই তাপমাত্রা ছিল। আর এবার ৩০ বছর পর রাজশাহীর তাপমাত্রা এমনটা বাড়ছে।
একদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অন্যদিকে প্রখর রোদ, দুই মিলে মানুষসহ প্রাণীকুলের আবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে। প্রখর রোদের কারণে ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে। কারণ বাইরে বের হলে চোখে মুখে লাগছে আগুনের ঝালা। তবে ঘওে বাইরে কোথাও মিলছে না স্বস্তি। ঘরের তাপমাত্রা যেমন, বাইরেও তেমনি গরম অনুভুত হচ্ছে। পার্থক্য শুধু ঘরে রোদ নেই আর বাইরে রোদ আছে।
এছাড়াও ফ্যানের বাতাসেও স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না। ফ্যানের নিচে থাকলেও শুকাচ্ছে শরীরের ঘাম। একদিকে তাপমাত্রা তার উপর প্রখর রোদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাস্তা-পথ-ঘাট। বাইরের বাতাস চোখে মুখে লাগলে মনে হচ্ছে আগুনের ঝালা চোখমুখে লাগছে।
বিশেষ করে প্রচন্ড তাপদাহের কারণে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। প্রখর রোদের কারণে লোকজন বেলা ১১টার মধ্যে বাইরে কাজ কাম সেরে বাসায় চলে যাচ্ছেন। আর শ্রমিক শ্রেণির মানুষ কাজে গিয়েও সর্বোচ্চ সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কাজ করে বাড়ি ফিরছেন। দুপুরের পর থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত নগরীর রাস্তা-ঘাট থাকছে অনেকটাই ফাঁকা