তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌরসভার ময়েনপুর দাখিল মাদ্রাসায় গোপনে নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা বানিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, মাদ্রাসাটিতে দুটি পদে জনবল নিযোগ দিয়ে প্রায় ২৪ লাখ টাকা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ডিজির প্রতিনিধি, মাদ্রাসার সুপার ও সভাপতি মিলেমিশে লোপাট করেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ সাংসদের নাম ভাঙিয়ে এসব টাকা লোপাট করা হয়েছে। অথচ এই নিয়োগ কার্যক্রমে সাংসদের কোনো সম্পৃক্ততা নাই। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৭ এপ্রিল সোমবার ময়েনপুর দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। কিন্তু গত ১৬ এপ্রিল রোববার গোপণে অন্য প্রতিষ্ঠানে কথিত নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও আয়া পদে দু’জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রায় ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।স্থানীয় সাংসদের নাম ভাঙিয়ে এসব টাকা আদায় করে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ডিজির প্রতিনিধি, মাদ্রাসার সুপার ও সভাপতি মিলেমিশে লোপাট করেছে।
সরেজমিনে ১৭ এপ্রিল ময়েনপুর দাখিল মাদ্রাসায় গিয়ে এবিষয়ে তথ্য জানতে চাইলে কোনো তথ্য না দিয়ে অফিস বন্ধ করে সভাপতি ও সুপার দ্রুত মাদ্রাসা ত্যাগ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চাকরি প্রার্থী যুবক বলেন, তাদের সোমবার পরীক্ষা নেয়ার কথা বলা হয়।কিন্তু তারা সোমবার মাদ্রাসায় এসে জানতে পারেন গত রোববার অন্য প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। ভূক্তভোগিদের অভিযোগ, সভাপতি ও সুপার ২টি পদের বিপরীতে ৫ থেকে ৬ জনের কাছে থেকে জনপ্রতি ১০-১২ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিয়ে গোপণে অন্য প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা নিয়ে দুই জনকে নিয়োগ দিয়েছে। এদিকে চাকরি প্রত্যাশীরা নিয়োগ না পেয়ে দিশেহারা হয়ে টাকা ফেরতের আশায় দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ১৭ এপ্রিল নিযোগ পরীক্ষা হবার কথা ছিল,তবে আমার সমস্যার জন্য দিন পরিবর্তন করা হয়েছে, আর অন্য প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা বা আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ সঠিক নয়। এবিষয়ে মাদ্রাসার সুপার আব্দুল হক বলেন, এসব বিষয়ে কোন তথ্য দেয়া যাবেনা, নিজ প্রতিষ্ঠা রেখে অন্য প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরিক্ষা কি ভাবে নিলেন,জানতে চাইলে তিনি মাদ্রাসার সভাপতির সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রবিউল ইসলাম জানান, আজকে নিয়োগ হওয়ার কথা ছিলো, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের ব্যাক্তিগত সমস্যার জন্য গত রোববার নিয়োগ পরিক্ষা নেয়া হয়ে গেছে। নিজ প্রতিষ্ঠা ছেড়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে পরিক্ষা কি ভাবে নিলেন,জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য না করে মাদ্রাসা ত্যাগ করেন। বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক(প্রশাসন) জাকির হোসাইনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নিজ প্রতিষ্ঠান ছেড়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়ার কোন সুযোগ নেই, যদি এরকম হয়ে থাকে তাহলে সেটা অবৈধ নিয়োগ বলে গণ্য হবে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান তিনি।