নাহিদ ইসলাম,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীতে তাপমাত্রার পারদ যেন কোনোভাবেই আর নিচে নামছে না। কেবলই ওপরে উঠছে।গেল ৪ এপ্রিল মৃদু তাপপ্রবাহ দিয়ে শুরু হয়েছিল চলতি মৌসুমে গরমের দাপট। এরপর মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং তারপর তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়।আর তিন দিন থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে খরাপ্রবণ এ রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে। সবশেষ তিন দিনই রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ রয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানিয়েছে- এর মধ্যে দুদিন রাজশাহীর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ায়। প্রথমে ১৭ এপ্রিল বিকেল ৩টায় রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ বুধবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাঝখানে কেবল ১৮ এপ্রিল ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ অতি তীব্র তাপপ্রবাহ টানা তিন দিন ধরে স্থায়ী হয়েছে জেলাটিতে।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বলেন, ভারী বর্ষণ ছাড়া আপাতত এ তাপপ্রবাহ প্রশমিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আর দুই-এক দিনের মধ্যে রাজশাহীতে বৃষ্টিরও কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে দেশের মধ্যে সিলেটসহ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আগামী সপ্তাহে রাজশাহীসহ সারা দেশেই কমবেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। তাই আপাতত বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলেও মন্তব্য করেন কামাল উদ্দিন।
এছাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে দেওয়া আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আর উত্তরের জেলা রাজশাহী, দিনাজপুর, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে দুঃসহ এ গরম থেকে পরিত্রাণ পেতে আজ ‘সালাতুল ইস্তিসকার’ আদায় করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টায় রাজশাহীর তেরখাদিয়ায় থাকা শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়াম মাঠে এ সালাতুল ইস্তিসকারের আয়োজন করা হয়। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে তওবা করে সব পাপ থেকে পানাহ চাওয়া হয়। সেসঙ্গে বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়