নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী পজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।
এসব অভিযোগ তুলে উপজেলার দুধাই মালিপাড়ায় গ্রামের সোলাইমান আলীর ছেলেৈ মুঞ্জুর রহমান রোববার (৩০ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর লিখত অভিযোগ করেছেন।লিখিত অভিযোগে মুঞ্জর রহমান উল্লেখ করেছেন, গোদাগাড়ী উপজেলাধীন ২ নং মোহনপুর ইউনিয়নের ৬৯ নং দুধাই মৌজার ৬২০ নং দাগের ০.৭০ একর শ্রেণী: পুকুর ছিল এবং পুকুর পাড়ে প্রায় ১৮ টি পরিবারের বসবাস রয়েছে। পুকুরটিতে আমরা এলাকাবাসী গোসলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে পুকুরের পানি ব্যবহার করে আসতাম। কিন্তু পুকুরের আর আস রেকর্ডীয় মালিক কাশিমালা গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে মোঃ আলী হোসেন রুবেলের নিকট বিক্রয়ের জন্য বায়নানামা গ্রহণ করেন।বায়না কার্য সম্পাদনের পর গত ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট থেকে আলী হোসেন (রুবেল) বাইরে থেকে মাটি এনে পুকুরটি ভরাট করছিলেন। আমি একজন নাগরিক হিসেবে পুকুর ভরাটের বিষয়টি ভরাট চলাকালীন অবস্থা মুঠোফোনে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসানকে মোবাইল ফোনে অবহিত করি। কিন্তু আমার নিকট থেকে পুকুর ভরাটের তথ্য পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসান আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে পুকুর ভরাটকারী আলী হোসেন (রুবেল) এর নিকট ১০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে পুকুরটির ভরাট কাজ সম্পূর্ণ করান।এছাড়াও আমি যেন কোথাও আর অভিযোগ না করি সেই জন্য আলী হোসেন (রুবেল) কে দিয়ে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।গোদাগাড়ী উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জানে আলম আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ১ নং গোদাগাড়ী ইউনিয়নের ১৮৮ নং পরমানন্দপুর মৌজার ১৮৫ নং দাগের ০.৫৮ একর একটি পরিত্যাক্ত পুকুর ভরাট করার জন্য এ্যাডভোকেট সালাউদ্দীন বিশ্বাস পরিবেশ আইনে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই পুকুর ভরাট কার্যক্রমের সঙ্গেও সবুজ হাসান জড়িত ছিলেন। তবুও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সবুজ হাসান কোনকিছুর তোয়াক্কা না করে ১০ লাখ টাকা ঘুষ পেয়ে এসব কর্মকান্ডে জড়িত হয়ে যাচ্ছেন।
অভিযোগকারী মুঞ্জুর রহমান গোদাগাড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসানের বিরুদ্ধে আইনগত বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দাবি জানান।এবিষয়ে গোদাগাড়ী সহকারি কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসান বলেন, কোন পুকুরের কথা বলা হচ্ছে তা মনে নেই দেখে বলতে হবে। এছাড়া কে কখন কোথায় অভিযোগ করলো তা জানা নেই।