স্পোর্টস ডেস্ক: শ্রীলঙ্কায় চলমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণে এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে সম্প্রতি নাটকীয় মোড় নিয়েছে।
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগস্টে এশিয়া কাপের আয়োজক হবার জন্য বাংলাদেশকে স্ট্যান্ড-বাই রেখেছে এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)।
এশিয়া কাপের ১৫তম আসরের আয়োজক শ্রীলঙ্কা। কিন্তু এ মাসের শেষের দিকে এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্বান্ত নিবে এসিসি।
সদ্যই এক মাসব্যাপী শ্রীলঙ্কা সফর শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া পুরুষ ক্রিকেট দল। এছাড়া সম্প্রতি ভারতীয় নারী দলও লঙ্কা সফর করেছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে, এশিয়া কাপ নিয়ে কোনো সুযোগ নিতে চায় না এসিসি।
সম্প্রতি, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির বাসভবনে ঢুকে পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটির বিক্ষুদ্ধ জনগণ। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন জ্বালিয়েও দেয় তারা। এরপরই পদত্যাগে সম্মত হয়েছেন তারা।
গতকাল শেষ হওয়া অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা টেস্ট চলাকালীন, মাঠের কাছাকাছি চলে আসে বিক্ষোভকারীরা। দেশের এই চরম অব্যবস্থাপনার জন্য রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাকসের প্রতি নিন্দা ও তার পদত্যাগের দাবিতে গল ফোর্টে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা।
তাই বিদেশী খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা এখন বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের আরো একটি পত্রিকা দৈনিক জাগরণের বরাত দিয়ে একটি সূত্র বলেছে, শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিবেশে ক্রিকেট খেলতে নিরাপদ বোধ করবেন না ক্রিকেটাররা। এখন এমন পরিস্থিতিতে এ বছরের এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কায় আয়োজন সম্ভব নয়। তাই আগামী আসরে আয়োজক হবার ক্ষেত্রে এগিয়ে বাংলাদেশই। কারণ এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে আগ্রহী নয় ভারত। আর পাকিস্তানে টুর্নামেন্ট হলে সেখানে খেলতে যাবে না ভারত।
এর আগে ২০১৬ সালে এশিয়া কাপ এবং ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ।
আগামী এশিয়া কাপে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং অন্য একটি এশিয়ান দল অংশ নিবে। বাছাই পর্ব থেকে অন্য একটি এশিয়ান দলকে নেয়া হবে। বাছাই পর্বে খেলবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, সিঙ্গাপুর বা হংকং। এখনো আসরের সূচি চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত হয়েছে, ২৭ আগস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হবে এশিয়া কাপ।
সূত্র : বাসস