November 26, 2024, 8:28 pm

News Headline :
চট্টগ্রামে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত চট্টগ্রামে চিন্ময় সমর্থক-পুলিশ সংঘর্ষ লালপুরে সড়কে ঝড়ল ২ প্রাণ রাজশাহীতে এক ভুয়া সেনা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার কারাগারের সামনে থেকে এমপি পুত্রকে তুলে নিয়ে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি অবৈধ দখলদার বুলবুল-হিটলার গংদের আড়াই মাসে কয়েক লক্ষ টাকা ঘাপলা সীমাহীন দূর্নীতির পরও বহাল তবিয়তে মোহনপুরের ইউএনও আয়শা সিদ্দিকা রাজশাহীতে চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব বন্ধে কঠোর হুশিয়ারি যুবদল নেতা রবি’র পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে কোথাও স্থাপনা করতে না পেরে শেষমেস ভাঙারির দোকানে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য
রাজশাহীতে থানার ওসিকে ম্যানেজ করেই চলছে দেহ ব্যবসা!

রাজশাহীতে থানার ওসিকে ম্যানেজ করেই চলছে দেহ ব্যবসা!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহী মহানগরীতে অবস্থিত ৬টি আবাসিক হোটেলগুলোতে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। র‍্যাব, পুলিশ, ডিবি অভিযান পরিচালনা করলেও থামছে না এই দেহ ব্যবসা। এসব আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসার পাশাপাশি চলে মাদক সেবন। এতে অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনি দিন।শহরের প্রাণ কেন্দ্রের সাহেব বাজার এলাকার ৫ টি আবাসিক হোটেলে চলছে এই অবৈধ দেহ ব্যবসা। হোটেলগুলো হলো, গণকপাড়া এলাকার হোটেল আশ্রয়, মালোপাড়া স্বর্ণপট্টি এলাকার হোটেল ওয়েলকাম, ভুবন মোহন পার্ক সংলগ্ন হোটেল পদ্মা, হোটেল সূর্যমুখি,লক্ষীপুর জিপিও সংলগ্ন বনলতা। এই সকল আবাসিক হোটেলের মূল হোতা সোহেল,মনির শিকদার ও আজাদ।

আবাসিক হোটেল নামে পরিচিতি থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে হোটেল ব্যবসার আড়ালে চলছে অনৈতিক কার্যকাপাল। আর এই হোটেলগুলোতে উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েদের আনাগোনাই বেশি। বিশেষ করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। দীর্ঘদিন ধরে হোটেলগুলোতে এই ব্যবসা চলার বিষয়টি স্বীকারও করেছেন হোটেলগুলোর ম্যানেজাররা। অনেক কিছুই ম্যানেজ করে এ কাজ করা হয় বলেও জানান তারা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন কয়েকজন দালাল। যারা কাস্টমার নিয়ে হোটেলে নিয়ে যান। দ্বিতীয় ধাপে চলে কাস্টমারের পছন্দের নারী বাছাই পর্ব। কয়েকটি রুমে রয়েছে একাধিক নারী। পছন্দ হলে চলে দরকষাকষি। একই সাথে বিভিন্নভাবে অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে আকৃষ্ট করার চেষ্টাও করছে উঠতি বয়সের মেয়েরা। কৌশলে পরিচয় জানতে চাইলে নিজেকে কলেজের ছাত্রী বলে জানায় একজন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব অবৈধ দেহ ব্যবসায় জড়িতরা বিভিন্ন স্কুল কলেজের মেয়ে। এদের নেটওয়ার্ক আছে বড় ধরনের । বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে এই অবৈধ ব্যবসা করেন তারা।

সরেজমিন পরিদর্শনকালে হোটেল কর্তৃপক্ষ এবং পতিতাদের এই অবৈধ কর্মকাণ্ড প্রতিবেদকের চোখে পড়ে। আবাসিক হোটেলের নামে দিনের পর দিন চলছে এই রমরমা দেহ ব্যবসা।

আবাসিক হোটেলের নামে এই অবৈধ পতিতালয়ের ব্যবসার বিষয়ে হোটেল ওয়েলকাম এর মালিক সোহেল জানান, আমরা কয়েকজন লোকাল মেয়েকে নিয়ে এ ব্যবসা করি এ কথা সত্য। তবে বোয়ালিয়া ওসি সোহরাওয়ার্দীকে বিশেষ করে হোটেল মেনটেন করে অনেক অর্থ প্রদান করা হয়। তিনি আরো বলেন প্রশাসনের অনেক কিছুই ম্যানেজ করে এ কাজ করি। আরো খোঁজ নিয়ে জানা যায় ওসি বোয়ালিয়া নিজেই ডিলকরে থাকেন।হোটেল বিষয়ে রেট ও অভিযান হওয়ার আগেই ওসি নিজেই জানিয়ে দেন হোটেলের মূল হোতাদের। বিভিন্ন প্রশাসন ডিপার্টমেন্ট হোটেল অভিযান পরিচালনা করলেও বোয়ালিয়া থানা এলাকায় হওয়ার পরেও কখনো দেখা যায়নি হোটেল অভিযানে কোন পদক্ষেপ।

বোয়ালিয়া মডেল থানার (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন এর সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, র‍্যাব-৫ সদস্যরাসহ পুলিশ, ডিবি প্রতিনিয়ত আবাসিক হোটেলগুলোতে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। তবুও আড়ালে হোটেলগুলোতে চলছে দেহ ব্যবসা।

Please Share This Post in Your Social Media

ads



© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.