নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীতে দুই দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা শেষ হলো। সোমবার (৮ মে) বিকেলে এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।রাজশাহীতে দুই দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা শেষ হলো। সোমবার (৮ মে) বিকেলে এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।রাজশাহী কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আমেনা বেগম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, উদ্ভাবনী মেলায় গত দুই দিন ধরে আমরা উদ্ভাবকদের বিভিন্ন ধরনের ভাবনাগুলোকে দেখেছি।এখন আমাদের কাজ হলো- কীভাবে এগুলো কাজে লাগিয়ে জনগণের সেবা সহজীকরণ করা যায় তা বাস্তবায়ন করা। এখান থেকে যদি কোনো ভাবনা নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে কাজ করা যায় সেগুলো নিয়ে কাজ করা।আমেনা বেগম বলেন, গ্রামের তুলনায় শহরের মানুষ সবক্ষেত্রে বেশি সুবিধা ভোগ করে। তাই আমরা চেষ্টা করছি সব জায়গার মানুষ যেন একই সুবিধা ভোগ করে।
তিনি বলেন, এ দেশ সেদিন সোনার বাংলা হবে, যেদিন সকল মানুষ সমভাবে সুবিধা পাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেলক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন বলে তিনি জানান।
রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. মোকছেদ আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সাইফুল ইসলাম।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ফারুক হোসেন, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা. আব্দুল খালেক।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এবারের ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সেরা ২৫টি উদ্ভাবন প্রদর্শনের জন্য ২৫টি স্টল স্থান পায়। এর মধ্যে থেকে সেরা ৩টি স্টলকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেরার পুরস্কার ও সনদপত্র দেওয়া হয়।
ট্রান্সফর্মার চুরি প্রতিরোধ ব্যবস্থা উদ্ভাবনের জন্য প্রথম পুরস্কার লাভ করে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১, পাঠচক্র উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য দ্বিতীয় সেরার পুরস্কার লাভ করে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় এবং লোকাল গভর্নমেন্ট অ্যাওয়ার্ড চাঁপাইনবাবগঞ্জে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন প্রচেষ্টায় এক নতুন ধারার সূচনা করার জন্য তৃতীয় হওয়ার গৌরব অর্জন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়।