বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় মায়ের হত্যার প্রতিশোধ নিতে বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। বাবার হত্যাকারী গ্রেফতার ছেলে সনি হোসেন শুক্রবার পুলিশের কাছে শিকার করেছেন। পরে পুলিশ ছেলের বাড়ি থেকে রক্তমাখা সাট ও প্যান্ট হব্দ করে।
জানা যায়, ১৯৯৮ সালে আজিজুল আলম আস্তুল তার স্ত্রী পারুল বেগমকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এই হত্যা মামলায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করে। কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের করোনাকালীন সময়ে সরকার বিশেষ ব্যবস্থাপনায় মুক্তি দেন। মুক্তি পেয়ে সে বছর দুয়েক আগে বাড়িতে আসেন। তারপর সে পাগলের মতো এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতেন এবং মানুষের কাছে টাকা পয়সা চাইতে শুরু করেন। চক্ষু লজ্জায় এক পর্যায়ে দুই ছেলে ফারুক হোসেন ও সনি হোসেন বাড়িতে আটকে রাখেন। মাস খানেক আগে ঘরের জানালা ভেঙ্গে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। তারপর সে আর বাড়ি ফিরেনা।
মায়ের হত্যার প্রতিশোধ নিতে শুক্রবার রাতে চাকু ও গাছের ডাল দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। পুলিশ সনিকে সন্দেহ করে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তার বাবাকে হত্যার বিষয়ে শিকার করেন।এ ঘটনায় আজিজুল আলম আস্তুলের বড় ছেলে ফারুক হোসেন বাদি হয়ে বাঘা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি খায়রুল ইসলাম বলেন, লাশের মাথা, মুখ, চোখ, গলা ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতে চিহৃ রয়েছে। তার ছেলে সনি হোসেন আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১২ মে) সকালে বাঘা থানার পুলিশ উপজেলার চক আমোদপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুকুর পাড় থেকে এই লাশ উদ্ধার করে। আজিজুল আলম আস্তুল চক আমোদপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব প্রামানিকের ছেলে।