নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর উন্নয়নভাবনা নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাবির মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আয়োজনে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাবির মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের কনভেনার প্রফেসর আব্দুল্লাহ আল মামুন।সভায় বক্তারা বলেন, রাজশাহীতে ব্যাপক উন্নয়ন দৃশ্যমান। রাজশাহীর উন্নয়নের স্বার্থে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের বিকল্প নেই। রাজশাহীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পাশে থাকবো। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আগামীতে প্রথমেই রাজশাহী শহরের আয়তন বাড়াতে চাই। শহরের আয়তন ৩৭০ বর্গকিমি করতে চাই। আয়তন বাড়ানোর প্রস্তাব ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আগামীতে এটি বাস্তবায়ন হবে। সম্প্রসারিত এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে। সমন্বিত প্রয়াসে রাজশাহীকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
রাসিক মেয়র আরো বলেন, রাজশাহীতে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান প্রয়োজন। শিল্পায়নের লক্ষ্যে বিসিক শিল্পনগরী-২ এর কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে উদোক্তাদের প্লট বরাদ্দ প্রদান করা হবে। সেখানে কৃষিজাত ভিত্তিক শিল্পকারখানা গড়ে তোলা হবে। রাজশাহী-কলকাতা সরাসরি ট্রেন ও বাস চালু করতে চাই। পদ্মানদীর নাব্যতা ফিরিয়ে এনে বিমানবন্দর স্থাপন ও নৌরুট চালু করতে চাই। প্রথম পর্যায়ে ভারতের মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান থেকে গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ পর্যন্ত নৌরুট চালু হবে। পরবর্তীতে রাজশাহী হয়ে আরিচা হয়ে ঢাকা পর্যন্ত নৌরুট চালু করতে চাই। এটি হলে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এসব কাজ বাস্তবায়নে আপনাদের সকলের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও রাবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আব্দুল খালেক বলেন, রাজশাহীতে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করেছেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আগামী নির্বাচনে আমরা তাকে বিজয়ী দেখতে চাই। লিটন জিতলে বঙ্গবন্ধুর জিতবেন, লিটন জিতলে শেখ হাসিনা জিতবেন, লিটন জিতলে আওয়ামী লীগ জিতবে, লিটন জিতলে রাজশাহীবাসী জিতবে। এজন্য লিটনের বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
রাবি উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, সামনে অনেক সম্ভাবনা থাকার পরও রাজশাহীর মানুষকে ভালোবেসে এখানেই থেকে গেছেন মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তাঁর নেতৃত্বে রাজশাহীর উন্নয়ন দৃশ্যমান। উন্নয়নের এই ধারা যেন কোনভাবে থেমে না যায়, সেই বিষয়টি সকলকে খেয়াল রাখতে হবে। আগামীতে অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি মানবিক উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন নগরপিতা-এটি আমরা প্রত্যাশা করি।
রাবির মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের কনভেনার প্রফেসর আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন রাবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর হুমায়ুন কবির, উপ-উপাচার্য প্রফেসর সুলতান-উল-ইসলাম। সভা সঞ্চালনা করেন রাবির জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।
মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য দেন রাবির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ও বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব মলয় কুমার ভৌমিক, দর্শন বিভাগের প্রফেসর আবু বক্কর, ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর আবুল কাশেম, রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর শফিকুন্নবী সামাদী, রাবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ফায়েক উজ্জামান, সাবেক উপ-উপাচার্য প্রফেসর মোঃ নূরুল্লাহ, প্রাণ রসায়ন বিভাগের প্রফেসর হবিবুর রহমান, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর খলিলুর রহমান, রসায়ন বিভাগের প্রফেসর তারিকুল ইসলাম, আইইআর এর পরিচালক প্রফেসর ড. দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস, মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর সুভ্রা রানী চন্দ, সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর জান্নাতুল ফেরদৌস, ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের প্রফেসর আব্দুল্লাহ আল মামুন, ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের প্রফেসর জালাল উদ্দিন, আইন বিভাগের প্রফেসর হাসিবুল আলম প্রধান,বাংলা বিভাগের প্রফেসর পিএম শফিকুল ইসলাম, প্রফেসর একরাম উল্লাহ প্রমুখ।