November 24, 2024, 10:49 am

News Headline :
রাজশাহীতে চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব বন্ধে কঠোর হুশিয়ারি যুবদল নেতা রবি’র পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে কোথাও স্থাপনা করতে না পেরে শেষমেস ভাঙারির দোকানে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ: নাছিম রাজশাহীতে আলু ও তেলের দাম বাড়তি রাজশাহীতে ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বললো মহানগর ছাত্রদল প্রধান উপদেষ্টার সাথে খালেদা জিয়ার মতবিনিময় দেশের সকল ক্ষমতার মালিক হবেন জনগণ: ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন দালালের ফাইলে আগে সই করেন রাজশাহী পাসপোর্ট অফিসের ডিডি
অভিনেতা নায়ক ফারুকের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে

অভিনেতা নায়ক ফারুকের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা, সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে।

মঙ্গলবার (১৬ মে) সকালে ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর থেকে নায়ক ফারুকের মরদেহ ঢাকায় আনা হয়।

এরপর মরদেহ উত্তরার বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, উত্তরা থেকে বেলা ১১টার দিকে ফারুকের মরদেহ নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা জানাবেন।

শহীদ মিনার থেকে চলচ্চিত্রের মানুষের মিয়া ভাইয়ের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে দীর্ঘ ক্যারিয়ারের প্রিয় জায়গা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি)। দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে এফডিসিতে নিয়ে যাওয়া হবে মরদেহ। সেখানে বাদ যোহর জানাজার পর নিয়ে যাওয়া হবে গুলশান আজাদ মসজিদে। সেখানে বাদ আসর জানাজা হবে।

ফারুকের মেয়ে ফারিয়া তাবাসসুম পাঠান তুলসী জানান, আজাদ মসজিদের জানাজা শেষে মরহুমের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তার নিজ জন্মস্থান কালীগঞ্জে। উপজেলার তুমালিয়া ইউনিয়নে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে ফারুককে।

নিয়মিত চেকআপের জন্য ২০২১ সালের ৪ মার্চ সিঙ্গাপুরে যান ফারুক। চেকআপের পর তখন তার ইনফেকশন ধরা পড়লে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি হন এই অভিনেতা। এরপর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন এই কিংবদন্তী অভিনেতা।

ক্যারিয়ারে প্রায় পাঁচ দশক বড় পর্দা মাতিয়েছেন ফারুক। ১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন চিত্রনায়ক ফারুক। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত জলছবি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ফারুকের চলচ্চিত্রে আগমন। তার বিপরীতে নায়িকা ছিলেন কবরী। ১৯৭৩ সালে খান আতাউর রহমান পরিচালিত আবার তোরা মানুষ হ, ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত আলোর মিছিল দুটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেন।

১৯৭৫ সালে গ্রামীণ পটভূমিতে নির্মিত সুজন সখী ও লাঠিয়াল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং সে বছর লাঠিয়াল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্বচরিত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ১৯৭৬ সালে ফারুক অভিনীত তিনটি সিনেমা মুক্তি পায়। এগুলো হচ্ছে- সূর্যগ্রহণ, মাটির মায়া ও নয়নমণি। চলচ্চিত্র তিনটি বিভিন্ন বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। পরের বছর শহীদুল্লাহ কায়সার রচিত কালজয়ী উপন্যাস সারেং বৌ অবলম্বনে নির্মিত সারেং বৌ ও আমজাদ হোসেন পরিচালিত গোলাপী এখন ট্রেনে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৮৭ সালে ‘মিয়া ভাই’ চলচ্চিত্র সাফল্যের পর তিনি মিয়া ভাই হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

চলচ্চিত্রের বাইরে ফারুক একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ফারুক ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিতব্য একাদশ বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

ফারুক ভালোবেসে বিয়ে করেন ফারজানা পাঠানকে। তাদের দুই সন্তান ফারিহা তাবাসসুম পাঠান তুলশী ও রওশন হোসেন।

Please Share This Post in Your Social Media

ads



© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.