নিজস্ব প্রতিবেদক: সিটি নির্বাচন নিয়ে রাজশাহী জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের সাথে বৈঠক করায় কাটাখালি পৌরসভার নয় ওয়ার্ডের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার প্রতিবাদের সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। মঙ্গলবার দুপুরে নগরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কাটাখালি পৌর আওয়ামী লীগের ৪ ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ মানিক। তিনি বলেন, যে প্রক্রিয়ায় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে তা গঠনতন্ত্রের সাথে সাংঘর্ষিক । পূর্বে ঘোষিত কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই কোন কমিটিকে এভাবে বিলুপ্ত করা যায় না বলে দাবি করেন নেতারা। তিনি বলেন, কমিটি বিলুপ্ত করার পেছনে মেয়াদ উত্তীর্ণকে প্রধান কারণ হিসেবে দেখানো হলেও এর মুলে রয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বন্দ্ব।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান এবং খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে রাজশাহী ৩ আসনের সাংসদ আইনুদ্দিনের সাথে বিরোধের জেরে কাটাখালি পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে বলেও দাবি করেন নেতারা। অগঠনতান্ত্রিক কার্যক্রমের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কাটাখালি পৌরসভা আওয়ামী লীগ ১ ওয়ার্ড সভাপতি ইসমাইল হোসেন, ২ ওয়ার্ড সভাপতি সাদেক আলী, ৩ ওয়ার্ড সভাপতি মতিউর রহমান, ৭ ওয়ার্ড সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, ৭ ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, ৯ নং ওয়ার্ড সভাপতি এনামুল হকসহ অনান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাই কাটাখালি পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু সামা বলেন, তাদরে কমিটি আগেই বিলুক্ত করা হচ্ছিলো। তাদের অনুরোধে রাখা হয়েছিলো। তাদের ডাকলে তারা কোন প্রগ্রামে আসে না। তাদের মেয়াদও শেষে হয়ে গেছে। তাই তাদের কমিটি বিলুক্ত করা হয়েছে।
কমিটি বিলুক্ত করার আপনি সংগঠনিক ক্ষমাতা রাখেন কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, গঠনতন্ত্র মেনেই করা হয়েছে। পবা উপজেলা আওয়ামীলীগকে জানিয়েই কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। তারা এগুলো নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে।