সারোয়ার হোসেন, তানোর প্রতিনিধি: সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে অবশেষে রাজশাহীর তানোরে রাত পোহালেই সম্মেলন। এতে করে উপজেলা জুড়ে নেতাকর্মীরা ব্যাপক উৎফল্লিত। সম্মেলন বানচাল করতে জেলার এক কুলহারা নেতার সকল ধরনের ষড়যন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ।
এজন্য বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে স্হানীয় সংসদ সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক শিল্পপ্রতি মন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী সম্মেলন স্হল গোল্লাপাড়া বাজার ফুটবল মাঠ পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি বলেন, যতই ষড়যন্ত্র হোক সম্মেলন সফল হবেই ইনশাআল্লাহ এবং এসম্মেলন ইতিহাস হয়ে থাকবে। এত নেতাকর্মীর উপস্থিতি ঘটবে কল্পনাতীত। আর তানোরের সম্মেলন নিয়ে তৃনমুল নেতাকর্মীদের আগ্রহ টা অনেক বেশি। সম্মেলনের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ, শুধু রাতের মধ্যেই মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন।
তিনি আরো জানান জেলার এক পদহারা নেতা সম্মেলনকে বানচাল এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাকে হেয় করতে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন খবর প্রকাশ করিয়ে নিয়েছে। আমি তাকে বলতে চায় আমি নৌকার এমপি, আমি কি শেখ হাসিনার মনোনয়নের এমপি না, নাকি উড়ে এসে জুড়ে বসা এমপি। মারপিটের ঘটনা কেউ জানল না, কি হয়েছে সেটাও না জেনে অলৌকিক গায়েবি বক্তব্য দিলেন আমার বিরুদ্ধে। আমার বাপ চাচারা স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হলো আর তিনি আমার শহীদ পিতা কে রাজাকার বলে দিলেন। আমি জানিনা তারা কোন আওয়ামী লীগ না আমি লীগ করেন। তিনি শহরে কিভাবে চলেন সবার জানা। ফারুক চৌধুরীর কাছে সুবিধাও নিবে আবার ষড়যন্ত্র করবে এটা কোন আচরণ। আমি প্রিন্সিপাল কে পনের মিনিট নির্যাতন করেছি, পনের মিনিট নির্যাতন করলে তাকে হাসপাতালে কিংবা বাড়িতে চিকিৎসা নিতে হতো। অথচ ওই প্রিন্সিপাল নিজেই বিবৃতি দিলেন নামধারী সাংবাদিক গোয়েন্দা পুলিশ সেজে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে নানান আবল তাবল কথা বলা শুরু করেন। আমি তার সাথে কোন বিষয়ে কথা বলিনি।
এটা এমপি ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে এবং তানোরের সম্মেলন বানচালের অন্যতম নীল নকশা করে ব্যর্থ হয়েছেন। কারন তার অন্যতম সহচর রাব্বানী মামুনের পদ হারানো আতংকে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কিন্তু কোন ষড়যন্ত্র কাজে আসবেনা তানোরে সম্মেলন হবেই। ওই প্রিন্সিপাল আরো বলেন ফারুক চৌধুরী একজন শিক্ষা অনুরাগী এমপি। তিনি বিভিন্ন ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হঠাৎ সফর করে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে খোজ মেজাজে বিভিন্ন বিষয়ে খোজ খবর নেন। যারা এমপির সদিচ্ছা ভালো কাজ দেখতে পারেনা এবং তার কাজ থেকে অনৈতিক সুবিধা পায় না তাদের কাছে খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তিনি তানোর গোদাগাড়ী গর্ব, আমরা তার মত ক্লিন ইমেজের এমপি পেয়ে গর্বিত। তার এলাকায় মাস্তানি নেই, চাঁদাবাজি নেই, টেন্ডার বাজি নেই, আর এসব সুবিধা না পেয়ে বিভিন্ন ভাবে তাকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে নিজেরাই অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে।
এমপি আরো জানান, শুধু মাত্র তানোরের সম্মেলন বানচালের জন্যই আসাদ নামের সাবেক কুল হারা নেতা আমার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন। আমি নাকি শুধু প্রিন্সিপাল সেলিম রেজাকে না অনেক সরকারি কর্মকর্তাকে পিটিয়েছি। এর চেয়ে ভাঁওতাবাজি আর কি হতে পারে। আমি যদি এসব করতাম তাহলে দেশরত্ন মমতাময়ী শেখ হাসিনা নৌকা দিতেন না। আজ থেকে বিশ বছর আগে এসব এলাকায় আওয়ামী লীগের নাম তেমন ছিল না। গুটি কয়েক নেতা দলকে ভাঙ্গিয়ে আখের গুছিয়েছেন।তারা দলের নেতাকর্মী বা নেতৃত্ব তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। মমতাময়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় বিএনপি জামাতের আতুর ঘর হিসেবে পরিচিত তানোর গোদাগাড়ী। অনেক কষ্টে দলকে নবজাগরণের মাধ্যমে নতুন দিগন্তে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি নেতাকর্মীদের সকাল সকাল সম্মেলন স্থলে আসার আহবান জানান এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্মেলন হবে। কিন্তু সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে কুচক্রী মহল যেন সম্মেলন কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইবেন। কিন্তু আপনারা শান্ত থেকে সম্মেলন সফল করবেন এটাই আমার আহবান। কাজ করলে ভালোমন্দ সমালোচনা হবেই। আর সমালোচনা না হলে সঠিক বেঠিক বোঝা যাবে না। তবে কিছু দুষ্ট চক্র ভালোকে ভালো বলতে জানে না। নিন্দুকেরা নিন্দা করায় তাদের পেশা। সম্মেলন হবে, নেতৃত্ব তৈরি করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। আমার নির্দেশ আপনারা ব্যাপক উপস্থিতির মাধ্যমে সম্মেলন সফল করবেন।
তৃনমুল নেতাকর্মীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে সম্মেলন সম্মেলন খেলা করলেন বিতর্কিত রাব্বানী মামুন ও নাটের গুরু আসাদ। কিন্তু তাদর সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে শুক্রবারে তানোরের ইতিহাসে এক অন্য রকম সম্মেলন হবে রাত পোহালেই শুক্রবারে।
তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার বলেন, আমার জীবনে এক অন্য রকম সম্মেলন দেখছি। কে আসবেন নেতৃত্বে সেটাও বলা যাচ্ছে না। তবে সম্মেলন হবে জমকালো আয়োজনে। যারায় নেতৃত্বে আসছেন তাদের জন্য শুভ কামনা থাকবে। তবে এমন কোন ব্যক্তিকে নেতৃত্ব দেওয়া যাবে না যা দলের জন্য ক্ষতিকর হয়। সম্মেলন সফল করতে সংসদ ও জেলার নেতাদের পরামর্শে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষের দিকে।