তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি তানোর উপজেলা স্বস্থ্য কেন্দ্রের পাশে।
এবিষয়ে ভুক্তভুগি এনজিও কর্মী রফিকুল ইসলাম তাছের প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। দোকান নির্মাণকারীরা এলাকার প্রভাবশালী হবার কারনে কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছে মত দোকান ঘর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।ভুক্তভুগি রফিকুল ইসলাম তাছের বলেন, তানোর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে আমার জায়গা যাবার পায়ে হাটা রাস্তার উপর তানোর পৌর এলাকার মথুরাপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম ও আমশো গ্রামের নওশের আলী সেকু দোকান ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। আমি বাধা দিতে গেলে তারা বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়। আমি নিরুপাই হয়ে প্রথমে তানোর পৌরসভার মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ করি। অভিযোগের ভিত্তিতে মেয়র তাদের পায়ে হাটার জায়গা বাদ দিয়ে দোকান ঘর নির্মানের জন্য বলেন। কিন্তু পরে তারা মেয়রের কথা অমান্য করেন। পরে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ করি। পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে তাদের ঘর নির্মাণ করতে নিষেধ করলেও তারা তাও মানে নি। অবশেষে আমি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই জায়গা উপর ১৪৪ ধারা মামলা করি। আমি একটি এনজিওতে চাকুরী করি। চাকুরীর সুবাদে আমি চারঘাট থানায় কর্মকর আছি। তানোরে আমি না থাকায় তারা ইচ্ছেমত ১৪৪ ধারা অম্যান্য করে শফিকুল ও সেকু তাদের দোকান ঘর নির্মানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এবিষয়ে শফিকুল ইসলাম ও নওশের আলী সেকু বলেন, আমাদের দলিলিও সম্পত্তির উপর আমরা দোকান ঘর নির্মাণ করছি। তাছেরর জায়গাতো আমাদের জায়গার পিছনে। তার জায়গায় আমরা কিছু করছিনা। অহেতু সে আমাদের হয়রানী করছে।
আদালতের নির্দেশক্রমে নোটিম প্রদানকারী তানোর থানা এএসআই (নিরস্ত্র) ফরিদুল ইসলাম বলেন, এলাকায় শান্তি শৃংখলা রক্ষাথে উভয় পক্ষকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। দোকান ঘর নির্মানতো বন্ধ থাকার কথা।
তানোর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, বিজ্ঞ আদালতে ১৪৪ ধারা ফৌজদারী কার্যবিধি আদেশক্রমে আমরা এলাকার শান্তি শৃংখলা রক্ষাথে উভয় পক্ষকে নোটিশ দেয়া হয়েছে।