নিজস্ব প্রতিবেদক: জামিয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম (রহঃ) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার রাজশাহী বিভাগের সভাপতি ও উলামা কল্যান পরিষদ, রাজশাহীর উপদেষ্টা মুফতি মরহুম শাহাদত আলীর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কায়ছার রহমান চৌধুরী অডিটরিয়ামে আয়োজিত এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, সাবেক রাসিক মেয়র ও রাজশাহীর ওলামা কল্যাণ পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকার বেফাকুল মাদারি সিল আরাবিয়ার মহাপরিচালক আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ইসলামিক স্কলার শাইখুল হাদিস আল্লামা উবায়দুর রহমান খান নদভী। বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, মুফতি শহিদুল ইসলাম শিক্ষক শাহমখদুম দরগাহ মাদ্রাসা, মুফতি ইয়াকুব আলী হেতেমখা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, জামিয়া রহমানিয়া রাজশাহীর ড. মাওলানা ইমতিয়াজ আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিকের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সদ্য প্রয়াত রাজশাহীর প্রখ্যাত আলেম আলহাজ্ব মুফতি শাহাদত আলী (রহ:) যার জীবদ্দশায় আমরা তাকে বুঝতে পারিনি কিন্তু তার মৃত্যুর পর এখন বুঝতে পারছি তার কতোটা প্রয়োজন ছিলো। আমার সুযোগ হয়েছিলো বেশ কয়েক বার তার সান্নিধ্যে আসার। একটা পর্যায়ে তার কাছে বারে বারে স্মরণাপন্ন হয়েছি এবং তিনি বারবার আশ^স্ত করেছিলেন যেভাবে আমি কাজ করে যাচ্ছি নিশ্চিন্তে করে যেতে।
সাবেক রাসিক মেয়র ওলামাদের উদ্দেশ্য বলেন, প্রত্যেক ওলামাদের নিজ নিজ এলাকায় একটি গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে। সারা পৃথিবীতে মুল্যবোধের যে অবক্ষয় ,অর্থের জয়জয়কার, অর্থবিত্তশালী মানুষদের অনেকে ভয় পায় অথচ সে অর্থ হতে পারে অবৈধ ভাবে অর্জন করা। তবু ও মানুষতার পেছনে দৌড়ায় যদি তার কাছ থেকে অর্থ, ভালোবাসা পাওয়া যায়। কিন্তু আপনারা সমাজকে ঠিক রাখার জন্য জুম্মার নামাযে যে খুৎবা দেন বাংলায় সেটি সমাজকে ঠিক রাখার জন্য খুবই দরকারি।
খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, আমি বছরে দুটি ঈদে আলেম-উলামাদের শুভেচ্ছা ভাতা প্রদান করি। এটি আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। এটিকে কীভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া যায়, সেটিও ভাবছি। আলেম-উলামাদের জন্য একটা টাস্ট্র গঠনের চেষ্টা করছি। একটা ফান্ড গঠন করা থাকলে সেখানে থেকে যেকোন সংকটে সহযোগিতা পেতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সারাদেশের ইমামদের জন্য একটা সম্মানী প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল- আমরা পত্রিকায় খবর দেখেছি। এটি যাতে চালু হয় এ ব্যাপরে আগামীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কথা বলবো।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওলামা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি রাজশাহীর আব্দুল গনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের(ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, ওলামা কল্যাণ পরিষদ রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোহাম্মদ ওমর ফারুক, সিনিয়রসহ সভাপতি মুফতি ইয়াকুব আলী, সহ-সভাপতি ডক্টর ইমতিয়াজ আহমেদ,সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাদের, উপদেষ্টা ডক্টর শহিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মাওলানা আইয়ুব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম শফিক, অর্থ সম্পাদক মুফতি হোসাইন আহমদ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মুফতি আলী আকবর ফারুকী।