নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীর পিরিজপুরে গ্রামের মৃত আব্দুল আল্লামের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা মৃত আবু নূর হামিম রিজভী বীর প্রতীকের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি জোর পূর্বক দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৫ মে পিরিজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয় মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইলা গোদাগাড়ী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোদাগাড়ী পিরিজপুর এলাকার মৃত মুক্তিযোদ্ধা আবু নূর হামিম রিজভী বীর প্রতীকের স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইলা ও তার দুই ছেলে আব্দুল্লাহ আল মুক্তাদীর বাধন ও আব্দুল্লাহ আল মুক্তাসিদ প্রত্যয়। ওয়ারিশ সূত্রে তাদের পাওয়া সম্পদ যার, মৌজা নং: ২৪১-পিরিজপুর, আর এস : ২০, হোল্ডিং- ২০। প্রতিপক্ষ রমিজের দলিল নং ৬৮৫৫, ১১-১১-২০২০ যা মূল দলিল ৩২৯৫.২০১৫ সালে পারিবারিক বন্টন নামা হইতে ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি মুক্তিযোদ্ধা ও তার ওয়ারিশগনের। গত ২০১৮ সালে মুক্তিযোদ্ধা রিজভীর মৃত্যুর পরে তার সম্পদ দলিল মুলে সঠিক ভাবে বন্টন হয়। গত ২৫ মে সকাল ৮ টার দিকে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মুক্তাসিদ ও তার বড় ভাই মুক্তাদির ও তার স্ত্রী শাপলা তাদের ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া গোদাগাড়ির পিরিজপুর গ্রামের জমিতে বাউন্ডারি করার জন্য যায়। এসময় প্রতিপক্ষ আবু মো: গৌসল আজম রমিজ তার দুই ছেলে মো: অয়ন আজম ও মো: অবন আজম মুক্তিযোদ্ধা আবু নূর হামিম রিজভী বীর প্রতীকের দুই ছেলে ও বড় ছেলের স্ত্রীকে বাউন্ডারি দেয়ার কাজে বাধা প্রদান করে এবং অকথ্যভাষায় গালাগালি করে। এসময় মুক্তিযোদ্ধার বড় ছেলের স্ত্রী শাপলা প্রতিবাদ করলে প্রতিপক্ষ রমিজের ছেলেরা তাকে লাঞ্চিত করে ও হামলা চালায়। এতে শাপলা আহত হয়। পরে স্থানিয়রা এগিয়ে আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইলা সাংবাদিকদের জনান, আমার স্বামীর মৃত্যুর পরে তার সকল সম্পদ সুষ্ঠ ভাবে বন্টন হয়। পিরিজপুর গ্রামে আমার স্বামীর কিছু জমিতে বাউন্ডারি দিতে গেলে প্রতিপক্ষরা বাধা প্রদান করে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির দিক নির্বাচনে অন্যায় করা এবং জোর পূর্বক দখলের জন্য কাগজ জালিয়াতি এবং বাধা প্রদান করছে এবং হুমকি মারধোরসহ মিথ্যা অভিযোগ এবং নূর হামিম রিজভী বীর প্রতীক এর কবরস্থান পারিবারিক গোরস্থান এ হওয়ার কারনে এবং এই পারিবারিক গোরস্থান কৌশলে মাতা নূর মহল কাছে থেকে ভিন্ন দলিলে অসুস্থ থাকা অবস্থায় বিবাদী রমিজ লিখে নেয়। যেকারনে আমার স্বামীর কবর জিয়ারত করার জন্য কোন প্রকার রাস্তা রাখা হয়নি।
তিনি আরো বলেন, পারিবারিক গোরস্থান এজমাইলি সম্পত্তি হিসেবে থাকার কথা। সেটাও লিখে নিয়েছে রমিজ। একজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কবর জিয়ারতের জন্য সর্বসাধারণ এর প্রবেশপথ নাই। এমনকি তারা পরিবার সন্তানেরাও বাবার কবরে যাওয়ার জন্য রমিজের অনুমতি এবং প্রবেশ এর জন্য তার বসতবাড়ীর বাউন্ডারি ভেতরে দিয়ে যেতে হয়।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী থানার কামরুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী লিখিতো অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।