নিজস্ব প্রতিবেদক: আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের সহকারি সচিব (ড্রাফটিং) আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষের উপর জুলুম, অত্যাচার, নিপিড়ন ও প্রতারণা থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী।
রাজশাহী জেলার পুর্ঠিয়া উপজেলার ভূক্তভোগী পরিবারবর্গ রোববার (৪মে) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে মহানগরীর একটি রেস্তরায় বিভিন্ন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
এলাকাবাসীর পক্ষে সহকারি সচিব আরিফুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, পুৃিঠায় উপজেলা দর্লিল লেখক সমিতির সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মুকুল।
তিনি বলেন, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের সহকারি সচিব (ড্রাফটিং) আরিফুল ইসলাম চাকরী দেওয়ার নাম করে এলাকার অনেক লোকজনের কাছে থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে রেখেছেন। চাকরি দিতে না পেরে সেই টাকা চাইতে গেলে নানান ধরনের হয়রানি ও পুলিশের ভয় দেখায়।
এলাকায় কয়েক জনের কাছে সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের ডিড রাইটার লাইসেন্স করে দেওয়ার নামে ঘুষ গ্রহণ করলেও লাইসেন্স করে না দেওয়া ও টাকা ফেরত দেয়নি। সহকারি সচিব (ড্রাফটিং) আরিফুল ইসলাম তার নিজের ফুফাতো বোন পপির ছেলেকে চাকুরি দেওয়ার নামে আড়াই লাখ টাকা গ্রহণ করলেও চাকরি তো দূরের কথা টাকাও ফেরত দেয়নি। তার কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে নানান রকম টালবাহানা করে বলে আরিফুলের ফুফাতো বোন পপি অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি, ট্রাক্টর ভাড়া নিয়ে ভাড়া না দেওয়া, জোর করে পুকুর খনন, এলাকায় বাজার মূল্য থেকে বেশী দামে জমি ক্রয় করে ফসল থাকা অবস্থায় জমি দখল করে টাকা না দেওয়া। নিজের ও স্ত্রীর নামে বিভিন্ন দলিলে কোটি টাকার জমি ক্রয় করে রাজস্ব কর ফাকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে ক্রয় মূল্যের চেয়ে কম দেখিয়ে দানপত্র রেজিষ্ট্রি করা, বিসিআইসি সার ডিলারদের কাছে থেকে বস্তা বস্তা সার বাজার মূল্যে কিনে মজুদ করা ও পরে বেশী দামে বিক্রিকরাসহ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নানান অপকর্ম করে এলাকার মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন।
এসব বিষয়নিয়ে ভূক্তভোগীরা পুঠিয়া থানায় ৪টি মামলা দায়ের করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এসব বিষয়ে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের সহকারি সচিব (ড্রাফটিং) আরিফুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এসব অভিযোগ সব মিথ্যা। পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে তারা আমার ক্ষতির উদ্দেশ্যে এসব করছে। তারা আমার চাকরি চুত্য করতে চাই। তারা সম্মিলিত ভাবে আমার বিরুদ্ধে এসব করছে রেজিষ্ট্রি অর্ফিসের অনিময় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পুঠিয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফরাফ খান ঝন্টু, আব্দুর রশিদ, নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুকুল উদ্দিনসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।