নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পবা উপজেলায় প্রকাশ্যে এক কৃষকের কলা বাগানের শতাধিক গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নওহাটা পৌরসভার ভূগরইল এলাকার ভোলাবাড়ী মৌজার দেলশাদ আলীর বাগানের গাছগুলো কর্তনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরএমপি শাহ মখদুম থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তভোগি দেলশাদ আলী।অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভোলাবাড়ি মৌজার আরএস ৪৬৬, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৬৯, ৪৭০, ৪৭২ ও ৪৭৩ দাগের সাত বিঘা জমি ভুক্তভোগি মো. দেলশাদের পিতা মো. তাজেম আলী ক্রয় করেন। তিনি প্রায় ৪৮ বছর থেকে জমি খাজনা খারিজ শেষে ভোগ দখল করে আসছেন। বর্তমানে এই জমিগুলোতে কলার বাগান, আমবাগান, ফুলচাষ, মরিচ ও আখের আবাদ রয়েছে।শনিবার দুপুরে শাহ মখদুম থানার ভুগরইল এলাকার মৃত আতাউর রহমানের ছেলে মো. মিন্টু ও মো. মেহেদী, মৃত খোশ মোহাম্মাদের ছেলে মো. নয়ন আলী, মৃত রহমতুল্লার ছেলে ইয়াসিন আলী এবং লালচাঁন শতাধিক কলাগাছ কর্তনসহ ফুলগাছ ও মরিচ আবাদের ব্যাপক ক্ষতি করে তারা। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার লোকসান হয়েছে।এব্যাপারে ভুক্তভোগি দেলশাদ বলেন, ‘আমার পিতা মো. তাজেম আলী জমি ক্রয় করে প্রায় ৪৮ বছর থেকে জমি খাজনা খারিজ করে ভোগ দখলে রেখেছেন। বর্তমানে এই জমিগুলোতে কলার বাগান, আমবাগান, ফুলচাষ, মরিচ, আখের আবাদ রয়েছে। হঠাৎ করে অভিযুক্তরা সাত বিঘা জমির মধ্যে ৪৬ শতাংশ জমি তাদের বলে দাবি করে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আগামী ১০ জুন আপোষ মীমাংসায় বসার কথা ছিল। কিন্তুু তার আগেই ৩ জুন দুপুরে তারা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জোরপূর্বক কলাগাছ কাটাসহ ফুল ও মরিচ ক্ষেতের ক্ষতি করেছে। এছাড়াও আমার মা ও চাচা-চাচিকে মারপিট করেছে। তারা প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে চলেছে’।এব্যাপারে অভিযুক্ত মো. মেহেদী বলেন ‘আমাদের জমি, ওরাই জোরপূর্বক আবাদ করে আসছে। আমাদের জমির আবাদ আমরা নষ্ট করলে অপরের ক্ষতি কোথায়। তিনি আরো বলেন আগামী ১০ জুন এ ব্যাপারে আপোষ-মীমাংসার কথা রয়েছে’।