শিবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌর এলাকার শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে অসহায় শিশু মো. ঈসা আলীর (৯) ঠাঁই মিলেছে। সে সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বড় মন্ডলটোলা গ্রামের আক্তারুল ও জলি বেগম দম্পতির ছেলে।
জানা গেছে- শিশুর মাতা গর্ভবর্তী থাকাকালীন পিতা নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে শিশুর বাবার কোন সন্ধান মেলেনি। পরে শিশু ঈসা ভূমিষ্ঠ হলে মা-শিশু অসহায় জীবনযাপন করে থাকে। এ সময় শিশুর মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। নানীর কাছে লালিত পালিত হতে থাকে শিশুটি। অবশেষে শিশুর নানী মারা গেলে নানীর মায়ের কাছে অর্থাৎ বড় মায়ের কাছে লালিতপালিত হতে থাকে। কিন্তু শিশুর বড়মা বৃদ্ধ ও সন্তানদের উপর নির্ভরশীল। ফলে শিশুর বড়মা তার ভাগের খাবার থেকে শিশুটিকে খাবার দিতো।এতে শিশুটির জন্য অনেক কম হতো খাবার এবং অপুষ্টির সম্ভাবনা ছিল। সমাজসেবা অফিস জানায়, বর্ধিত পরিবারের সদস্যরা শিশুর দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করলে তাকে গোবরাতলা একটি খাবারের হোটেলে রেখে আসে। যেহেতু শিশুটি কেসম্যানেজমেন্টের আওতায় ছিল ফলোআপ করার পর এই খবরটি জেনে একজন শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মী হিসেবে সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসের কেস সুপারভাইজার নাছির উদ্দিন শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তির পরামর্শ প্রদান করেন।রোববার শিশুটির অসহায় অবস্থা দেখে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াতের সঙ্গে আলোচনা করে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তির অনুমতি প্রদান করেন। একই সঙ্গে শিশুটিকে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে নির্বিঘেœ ভর্তি করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বজলুর রশিদ সনু ও সমাজকর্মী সেনারুল ইসলাম প্রমূখ।রোববার শিশুটির অসহায় অবস্থা দেখে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াতের সঙ্গে আলোচনা করে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তির অনুমতি প্রদান করেন। একই সঙ্গে শিশুটিকে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে নির্বিঘেœ ভর্তি করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বজলুর রশিদ সনু ও সমাজকর্মী সেনারুল ইসলাম প্রমূখ।